রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ। 





দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীতে আর কোন বড় ধরনের যুদ্ধ হয় নাই। কারণ পৃথিবীর সকল মীমাংসা ঠিক করার জন্য রয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে পৃথিবীতে তেমন যুদ্ধের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় না। কিন্তু জাতিসংঘ থাকা শর্তেও রাশিয়া ইউক্রেন উপরে হামলা করেছে। আমরা কি জানি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ। 

রাশিয়া অনেক শক্তিশালী একটি দেশ। রাশিয়াতে রয়েছে অনেক পারমাণবিক অস্ত্র। ইউক্রেন তুলনামূলকভাবে ছোট দেশ হলেও কোন অংশে কম নয়। কিন্তু পৃথিবীতে এই সময় এই যুদ্ধের কারণ গুলো কি কি। এগুলো আমাদের জানা অনেক প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ গুলো কি কি। 


রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ। 

গত 24 ফেব্রুয়ারি থেকে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। হঠাৎ করেই এই যুদ্ধটা লেগে যায়। একটানা 16 দিন যুদ্ধে ইউক্রেনের ব্যাপক ক্ষতি হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সবথেকে ইউক্রেনের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ইউক্রেনের অনেক সৈন্য সদস্যরা নিহত হচ্ছেন। স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ক্ষয় সাধন হয়েছে। 

রাশিয়ার কি যুদ্ধ হামলার পর থেকেই ইউক্রেনের নাগরিক অন্য দেশে পালিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনের নিকটবর্তী দেশগুলো পোল্যান্ড, হাঙ্গেরী ও মলদোভায় অবস্থান করছে। কারণ প্রত্যেকের জানের ভয় ও জীবনের মূল্য রয়েছে। ইউক্রেনের মানসিক বিপর্যয়ের অবনতি ঘটেছে। কিন্তু ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্ট এই যুদ্ধে হার মানে নাই। তিনি এই যুদ্ধের শেষ দেখে ছাড়ব বলে কথা দিয়েছেন। 

এখন আসল কথায় আসি, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ কি। ইউরোপ মহাদেশের সবথেকে বড় দেশ রাশিয়া। রাশিয়ার পরে যে দেশের অবস্থান সেটা হল ইউক্রেন। ইউক্রেনে প্রায় 40 মিলিয়ন লোক বসবাস করে। ইউক্রেনে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ ও খনিজ সম্পদ রয়েছে। বর্তমান রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, ইউক্রেন রাশিয়ার একটা ভূখণ্ড। অর্থাৎ বর্তমানে যে ইউক্রেন রয়েছে তা রাশিয়ার সৃষ্টি। 

পুতিনের আরো কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। ইউক্রেনের জনগণ রাশিয়া ভাষায় কথা বলে। ইউক্রেনের সংস্কৃতি রাশিয়ার সংস্কৃতির সাথে মিলে যায়। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেন যদি কোন একটা দেশের সঙ্গে জোট বাঁধতে চায় তাহলে সেটা হল রাশিয়া। কিন্তু ইউক্রেন অধিবাসীরা এই মতবাদকে অযৌক্তিক মনে করছে। কারণ তারা ১৯৯১ সালে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃত পায়। 

যেহেতু তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। মনে করেন তাদের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা রয়েছে। কারন প্রতিটা স্বাধীন রাষ্ট্র ও দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার রয়েছে। প্রাচীনকালে সবাই এই ভাবে ক্ষমতা দখল করে রাজ্য চালাতো। কিন্তু বর্তমান আধুনিক বিশ্বে হয় জুলুম করা যায় না। এই মতবাদে বিশ্বাসী ইউক্রেন রাজ্যের সকল জনগণ। 


রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অন্যতম কারণ হলো ন্যাটো। 30 টি দেশ নিয়ে ন্যাটো গঠিত হয়। বিশ্বের বড় বড় দেশ এই ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু রাশিয়া কখনো চায় ইউক্রেন ন্যাটোর আওতাভুক্ত হোক। 

কারণ ইউক্রেন যদি সদস্যপদ লাভ করে। তাহলে ইউক্রেনের রাশিয়ার মতোই ক্ষমতা হয়ে যাবে। যে কোন সমস্যা বা যুদ্ধে ন্যাটোর সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে ইউক্রেন। তাই এই বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট অনেক ক্ষোভ। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ মূলত এতাই। 

এছাড়াও 2014 সালে রাশিয়া-ইউক্রেন প্রথম প্রবেশ করে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের একটি বড় এলাকার আসে দখল করে ফেলে। তখন থেকে এই দুটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যুদ্ধ বন্ধের জন্য জাতিসংঘ থেকে অনেক শান্তি চুক্তির ঘোষণা আসে। কিন্তু এই দুটি দেশ কখনো থেমে থাকে না। তারা তাদের শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে যুদ্ধের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। 


রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ কবে শুরু হয়। 

রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। বর্তমানে এই যুদ্ধটি এখনো চলমান রয়েছে। এর আগেও দীর্ঘ 10 বছর আগে এই দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ সংঘাত হয়েছিল। উপরে আলোচনা করেছেন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ সম্পর্কে। 


উপসংহার। 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমাদের পৃথিবীতে কোন বিশ্বযুদ্ধের দেখা দেয় নাই। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতামতের কারণেই এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। পৃথিবীর অনেক সংস্থায় এই যুদ্ধকে লাঘব করার চেষ্টা করছে। আপনাদের জানা বিষয় ছিল রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ কি। আশা করি এই প্রশ্নের উত্তর জেনে গেছেন। 

আমরা চাই সকল দেশ তার নিজ নিজ সিদ্ধান্ত ও স্বাধীনভাবে চলুক। কারণ প্রত্যেকটা দেশের রয়েছে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র গড়ার অধিকার। তাই আমরা চাই অতি শীঘ্রই এই যুদ্ধটা বন্ধ হোক। আপনাদের রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ নিয়ে কোন মন্তব্য থাকলে আমাদের জানান। 


Post a Comment

أحدث أقدم