এসইও কি ? আপনি কিভাবে এসইও শিখবেন?  যদি এই প্রশ্নের উওর আপনি খুজে থাকেন। তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গাতে চলে এসেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমি SEO সম্পর্কিত যতো খুটিনাটি বিষয় আছে। সেই সবগুলো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে আপনাকে এসইও এর জাহাজ না হলেও, এসইও এর নাবিক বানিয়েই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ!

এসইও কি ? SEO শিখার উপায়
SEO কি? এসইও বাংলা গাইড

আপনি জানলে অবাক হবেন, বর্তমানে অনলাইন সেক্টরে একজন এসইও এক্সপার্ট  চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। এই রিলেটেড ছোট ছোট কাজ গুলো করিয়ে নেয়ার জন্য। একজন এসইও এক্সপার্টকে বিপুল পরিমানে টাকা দিতে হয়।

এর কারন কি জানেন? – এর প্রধান কারন হলো, সবাই চাইলেই কিন্তুু এসইও শিখতে পারেনা। দেখুন আপনার শরীরে যদি শক্তি থাকে ৷ তাহলে সেই শক্তির জোরে আপনি যেকোনো কাজ করতে পারবেন।

তবে কেউ চাইলেই কিন্তুু এই শক্তির জোরে এসইও এর কাজ করতে পারবে না। এখানে আপনার ব্রেইনের টেকনিকের উপর নির্ভর করবে। আসলে আপনি এসইও সেক্টরে কতটুকু এক্সপার্ট।

তো বিস্তারিত আলোচনা করার আগে আমাদের জানতে হবে, এসইও আসলে কি জিনিস৷ এটি খায় না মাথায় দেয়। 

এসইও কি? (What is SEO in Bangla)

অন্যান্য সবার মতো আমিও বলবো, এসইও এর পুরো অর্থ হলো, Search engine optimization. অর্থ্যাৎ, যখন আপনি আপনার কন্টেন্টকে কোনো সার্চ ইন্জিনের জন্য অপটিমাইজ করবেন ৷ তখন সেই অপটিমাইজেশন কে বলা হয় এসইও

কিন্তুু এটা তো আমরা সবাই জানি, তাইনা? এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় এই সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন কি? – তাহলে কি বলবেন? থাক, আপনাকে বলতে হবেনা ৷ বরং আমি উদাহরন সহকারে বুঝিয়ে বলছি। আসলে  SEO কি?

ধরুন, আপনার একটি অনলাইন শপ এর ওয়েবসাইট আছে ৷ যেখানে আপনি “মোবাইল” বিক্রি করেন। এখন আপনি চাচ্ছেন, কেউ যদি গুগলে গিয়ে “মোবাইল ” লিখে সার্চ করে। তাহলে সবার উপরে যেন আপনার ওয়েবসাইট কে দেখায়।

কারন, গুগলে “মোবাইল” লিখে সার্চ করার পর। একবারে শুরুর দিকে যে ওয়েবসাইট গুলোকে দেখাবে। সেই ওয়েবসাইট গুলোতে বেশিরভাগ মানুষ প্রবেশ করবে। এখন প্রশ্ন হলো, গুগলে “মোবাইল” লিখে সার্চ করার পর গুগল কেন আপনার ওয়েবসাইটটি দেখাবে?

আপনার জন্য আরো পোস্ট…

এর প্রধান কারন হলো এসইও (SEO) । অনলাইনে হাজার হাজার ওয়েবসাইট থাকতে পারে। কিন্তুু গুগলকে সবাই এই বিষয়টি বোঝাতে পারেনা যে, তাদের ওয়েবসাইটটি আসলে কোন টপিক নিয়ে কাজ করে।

আর গুগল ততোক্ষণ আপনার ওয়েবসাইট কে Top Rank প্রদান করবেনা। যতোক্ষন পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইটের মূল বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবে।

আর এই বোঝাবুঝির কাজটি সঠিকভাবে করার একমাএ মাধ্যম হলো, এসইও। যখন আপনি সঠিকভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইন্জিনের জন্য অপটিমাইজ করবেন। তখন গুগল ঠিকই আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্টে সবার আগে শো করবে।

আশা করি এসইও কি সেটা এতোক্ষনে বুঝে গেছেন। তবে এরপরও যদি বুঝতে না পারেন। তাহলে সম্পূর্ণ ব্যার্থতা আমার, কারন আমি আপনাকে আর কোনোভাবে বোঝাতে পারবো না। 

যাইহোক, এবার আমরা জানবো কেন আপনার এসইও জানা দরকার। যদি আপনি SEO জানেন, তাহলে আপনি কি সুফল পাবেন। আর যদি না জানেন, তাহলে আপনার কি কি ক্ষতি হবে। 

SEO এর মৌলিক বিষয় কি?

মানুষের মৌলিক চাহিদা যেমন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষা। অর্থ্যাৎ এসবের একটির অভাবে কোনো মানুষের বেঁচে থাকাটা কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি এসইও এর ক্ষেএেও এমন কিছু মৌলিক বিষয় আছে।

যেগুলো ছাড়া এসইও একেবারেই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আর এই অসম্পূর্ণ বিষয়কে সম্পূর্ণ করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই অবশ্যই এসইও এর মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

এসইও এর বেশ কিছু মৌলিক বিষয় আছে।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় হলো, 

১। কম্পিটিটর এনালাইসিস (Competitor)

কম্পিটিটর এনালাইসিসঃ একজন এসইও এক্সপার্ট হতে হলে, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, কম্পিটিটর এনালাইসিসে। কারন যতোক্ষন না আপনি আপনার কম্পিটিটরকে এনালাইসিস করতে পারবেন। ততক্ষণ আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে Improve করতে পারবেন না।

প্রথমে আপনাকে জানতে হবে, আপনার কম্পিটিটর কে? কার সাথে আপনাকে প্রতিযোগীতা করতে হবে? – একটু মনোযোগ দিন।

মনে করুন, আপনি “অনলাইন ইনকাম”- সম্পর্কে একটি কন্টেন্ট আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করছেন। কিছুদিন পর দেখলেন, আপনার পাবলিশ করা কন্টেন্ট,গুগলের ২য পেজে শো করছে।

এখন আপনার বর্তমান পজিশন থেকে গুগলের টপ পজিশন পর্যন্ত যতোগুলো ওয়েবসাইট আছে। তারা সবাই আপনার কম্পিটিটর

এখন আপনাকে ভাবতে হবে, গুগল কেন আপনার কন্টেন্টকে ২য় পেজে শো করলো। আর বাকি কন্টেন্ট গুলোতে এমন কি আছে!  যার কারনে গুগল তাদের কন্টেন্টকে ১ম পেজে শো করছে।

এবার আপনাকে সেই ওয়েবসাইট গুলোর কিছু বিষয় এনালাইস করতে হবে। যেমন, 

  • Content Quality 
  • Content Quantity  
  • Focus Keyword 
  • LSI Keyword 
  • Backlink
  • DA/PA

যখন আপনি ডোমেইন গুলোকে এনালাইস করা পর। আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার কন্টেন্টকে অপটিমাইজ করার জন্য আরও কি কি করতে হবে।

যেমন ধরুন, আপনার Content এর কোয়ান্টিটি হলো 5,000 Word. কিন্তুু যারা গুগলের প্রথম পজিশনে আছে, তাদের Content কোয়ান্টিটি 7,000 Word. এরমানে আপনাকে আরও বেশি Word যুক্ত করে আপনার কন্টেন্ট কে Update করতে হবে।

ঠিক এভাবেই Competitor এর Backlink, Keyword,  DA/PA এনালাইসিস করে। আপনার নিজের ব্লগ/কন্টেন্টকে ইমপ্রুভ করতে হবে।

২। কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword research)

কিওয়ার্ড রিসার্চ কিঃ যারা এসইও নিয়ে কাজ করে, তাদের সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো Keyword research. যখন আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করবেন,তখন যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে, তা হলোঃ

  • Keyword search volume 
  • Keyword difficulty 
  • keyword quantity 
  • LSI Keyword 
  • KGR Keyword 

দেখুন আপনাকে এমন একটি কিওয়ার্ড বাছাই করতে হবে। যে কিওয়ার্ডের যথেষ্ট Search Value থাকবে। কারন যদি আপনার কিওয়ার্ড কেউ সার্চ না করে। তাহলে আপনার কন্টেন্ট যতোই SEO Optimize হোক, আপনি যতোই এসইও করেন না কেন ৷ তাতে আপনার কোনো লাভ হবেনা।

আরেকটি বিষয় হলো, Keyword Difficulty. দেখুন আপনি একটা কিওয়ার্ড বাছাই করলেন। যার Search value অনেক, কিন্তুু সেই কিওয়ার্ডে অনেক ভালো ভালো ওয়েবসাইট Already Rank করে আছে। তাহলে আপনি যখন SEO করবেন ৷ তখন আপনাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।

আপনি অবশ্যয় পড়ুন…

একটা মজার বিষয় জেনে নেয়া যাক। যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, কিভাবে Keyword Research করতে হয়। তখন আরও দুই (২) ধরনের কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন ৷ যেমন,

  1. LSI Keyword 
  2. KGR keyword 

যে কিওয়ার্ডের সার্চ ভ্যালু কম, আবার Difficulty একবারে ০ (শূন্য)। সেই কিওয়ার্ডকে বলা হয় KGR Keyword. তবে এই টেকনিক গুলো তখনি বুঝতে পারবেন, যখন আপনি এসইও সেক্টরে বেশ কয়েকটা মাস ব্যয় করবেন। 

আবার আমরা গুগলে অনেক Keyword লিখে সার্চ দেয়ার পর গুগলের সবার নিচে যে Keyword গুলা থাকে বা শো করে সেই গুলাই LSI কিওয়ার্ড। 

৩। ব্যাকলিংক (Backlink)

ব্যাকলিংক কিঃ এসইও করার সবচেয়ে পাওয়ারফুল টেকনিক হলো লিংক বিল্ডিং। তবে অনেকেই মনে করে যে, বর্তমানে Backlink কাজ করেনা। যারা এমনটা মনে করে, তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।

কারন, বর্তমানে ব্যাকলিংকের কিছু কিছু টেকনিক কাজ করে না, এটা ঠিক। তাই বলে আপনি যদি পুরো Backlink টেকনিকে বাদ দিতে চান। তাহলে আপনি কোনোভাবেই Proper SEO করতে পারবেন না।

যখন আপনি Backlink করবেন, তখন আপনার সামনে বেশ কিছু বিষয় আসবে। যেমন,

  1. Anchor Text
  2. Blog Comment
  3. Forum Posting
  4. Guest Posting
  5. Profile Backlink
  6. Social Bookmarking
  7. Web 2.0
  8. Social SEO etc

দেখুন, ব্যাকলিংক করার সময় লক্ষ্য রাখবেন, আপনার Backlink নেয়ার পদ্ধতিটা যেন ন্যাচারাল মনে হয়। অর্থ্যাৎ, গুগল কোনোভাবেই যেন বুঝতে না পারে যে,আপনি জোর করে কিংবা টাকা দিয়ে আপনার সাইটের জন্য লিংক বিল্ডিং করছেন। 

আপনি যে ওয়েবসাইট থেকে Backlink নিচ্ছেন। সেই ওয়েবসাইটটি যেন High Authority হয়। এর পাশাপাশি সেই ওয়েবসাইটের Spam score যত কম হবে ততোই ভালো। 

৪। ভিজিটর এনালাইসিস (Visitor Analyses)

একটা কথা বলুন তো, আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করছেন, সেই সাইটকে এসইও করছেন, এসব কিসের জন্য?  -নিশ্চয়ই ভিজিটরের জন্য, তাইনা?

সেজন্য আপনার ওয়েবসাইটে যে ভিজিটর গুলো আসবে। সেই ভিজিটর গুলোকে খুব ভালোভাবে Analysis করতে হবে ৷ যেমন,

  • Find Search Engine 
  • Detect Keyword 
  • Visitor Bounce Rate
  • Visitor Time Spend 

সর্বপ্রথম আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে, আপনার ওয়েবসাইটে যে ভিজিটর গুলো আসছে ৷

  • তারা কোন সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসছে, 
  • কোন কিওয়ার্ডের মাধ্যমে আসছে,
  • এছাড়াও ভিজিটর আসার পর তারা আপনার কন্টেন্টে কত সময় ব্যয় করছে। 

এই বিষয়গুলো ভালোভাবে এনালাইস করতে হবে। 

এসইও কেন করবেন? 

যদি এককথায় এই প্রশ্নের উওর দেই। তাহলে উওর হবে, আপনার ওয়েবসাইটে বেশি বেশি ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য এসইও করতে হবে। কারন একটি ওয়েবসাইট এর প্রান হলো ভিজিটর। এটা তো সবাই জানে, তাইনা?

বর্তমানে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট রয়েছে। হয়তবা দেখা যাবে, আপনি যে টপিক নিয়ে ওয়েবসাইটে কাজ করেন। সেই একই টপিকে আরও হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে।

কিন্তুু এরপরও দেখবেন, যখন আপনি গুগলে কোনো বিষয়ে সার্চ করেন। গুগল আপনার সার্চ রেজাল্টে কয়েকটা ওয়েবসাইটকে সবার উপরে দেখায়। আবার কয়েকটি ওয়েবসাইটকে নিচের দিকে শো করায়।

এভাবে পর্যায়ক্রমে গুগলের ২য় পেজ বা ৩য় পেজে আরও কিছু ওয়েবসাইট শো করে।

এখন আমার প্রশ্ন হলো, একই বিষয় নিয়ে কাজ করার পরেও গুগল কেন কয়েকটি ওয়েবসাইটকে সবার উপরে শো করলো?

 এবং কেন একই বিষয় নিয়ে কাজ করার পরেও গুগল তাদের প্রথম পেজ থেকে সরিয়ে একবারে ২য় পেজে শো করলো? – এর কোনো সঠিক কারন বলতে পারবেন?

ওয়েট আমিই বলছি।

এর প্রধান কারন হলো, অপটিমাইজেশন। সবাই একই বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারে। কিন্তুু সবাই গুগলকে এই বিষয়টি বোঝাতে পারেনা যে, তারা আসলে কোন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। আর শুধু গুগল নয়, বরং যতগুলো কোনো সার্চ ইঞ্জিন আছে।

এই সার্চ ইঞ্জিন গুলো যতোক্ষণ পর্যন্ত না আপনার ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে বুঝতে পারবে। ততোক্ষন পর্যন্ত আপনার ওয়েবসাইটকে তাদের সার্চ রেজাল্টের প্রথম সাড়িতে শো করাবে না।

আর আপনার ওয়েবসাইট কে যদি প্রথম সাড়িতে শো না করায়। তাহলে আপনার সাইটে আশানুরূপ ভিজিটরও আসবেনা।

আবার অন্যদিক থেকে যদি চিন্তা করি ধরুন, বর্তমানে ই-কমার্সের চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাই আপনি ভাবলেন, অনলাইনে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। এখন আপনার তৈরি করা ওয়েবসাইটি তো একেবারে নতুন। আপনার সেই সাইট সম্পর্কে মানুষ কিছুই জানেনা।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

এখন কিভাবে আপনার সেই নতুন সাইটে ভিজিটর আনবেন?

একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করা পর প্রথম কাজ হবে, সেই নতুন সাইটকে সার্চ ইন্জিনের জন্য অপটিমাইজ করা। যেভাবেই হোক, সার্চ ইন্জিন গুলোকে এটা ভালো করে বুঝিয়ে দিতে হবে ৷ আসলে আপনার ওয়েবসাইটের মূল বিষয় কি। এবং আপনি কোন কোন মানুষ গুলোকে টার্গেট করেছেন।

আমি আর্টিকেলের শুরু থেকে এখন অবধি দুটো শব্দের বেশি ব্যবহার করেছি। সেই দুটো শব্দ হলো,”সার্চ ইন্জিন” (Search Engine). আপনি কি বলতে পারবেন যে, সার্চ ইন্জিন কি?

চলুন এবার এই বিষয়ে স্বল্প আকারে আলোচনা করা যাক।

সার্চ ইন্জিন কি?

আপনি গুগল চিনেন তো? -হ্যাঁ, গুগল একটি সার্চ ইন্জিন। তবে যারা মনে করেন, সার্চ ইঞ্জিন মানেই গুগল। তাদের জন্য রইলো এক বালতি সমবেদনা। কারন শুধু গুগল নয়, বরং গুগলের মতো আরও ডজন খানেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। আপনি কি সব সার্চ ইঞ্জিনের নাম জানেন?

যদি না জেনে থাকেন, তাহলে জেনে নিন। গুগলের মতো আরও অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। যেমন,

  1. Duckduckgo.com
  2. Yahoo.com
  3. Youtube.com
  4. Bing.com
  5. Baidu.com
  6. Yandex.com
  7. Ask.com

এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু সার্চ ইঞ্জিন আছে। কিন্তুু বৈশিষ্ট্যগত ও ব্যবহারকারীর দিক থেকে গুগল সবথেকে এগিয়ে আছে। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা গুগলকে বেশি প্রাধান্য দিবো।

শুধু এটুকু মনে রাখবেন, প্রতিটা সার্চ ইন্জিন আলাদা আলাদা Algorithm এ কাজ করলেও, যদি আপনি শুধু একটির Algorithms সম্পর্কে বুঝতে পারেন। তাহলে আপনি যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের Algorithms সম্পর্কে সহজেই বুঝতে পারবেন। 

একজন এসইও এক্সপার্টের মূল খেলাটা এই সার্চ ইঞ্জিনকে নিয়েই খেলতে হয়। সবার আগে আপনাকে বুঝে নিতে হবে, কোন সার্চ ইঞ্জিন গুলো কোন এলগরিদম মেনে কাজ করে। তবে এলগরিদম সম্পর্কে বোঝার আগে আপনাকে জানতে হবে, এই সার্চ ইন্জিন গুলো কিভাবে কাজ করে। 

সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?

এটা তো আমরা সবাই জানি যে, আমরা গুগলে যা লিখে সার্চ করি। গুগল আমাদের সেই বিষয়ে তথ্য দিয়ে থাকে। কিন্তুু একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে আপনাকে একটু আলাদাভাবে ভাবতে হবে। “গুগলে যা লিখি, গুগল আমাদের সেটিই দেখায়”- আপনি এটা ভেবে বসে থাকলে হবেনা।

বরং আপনাকে ভাবতে হবে, আমরা যা লিখে সার্চ করি,গুগল কেন সেটিই আমাদের দেখায়।

আপনি নিজেকে একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে কখন দাবি করতে পারবেন। যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে, কিভাবে সার্চ ইন্জিন কাজ করে। আর এই বিষয়টি বুঝতে পারাটাও কিন্তু সহজ কাজ নয়।

আপনি যখন গুগলে কিছু সার্চ করেন। তখন গুগলে যে তথ্যগুলো দেখায়। আপনার কি মনে হয়, সেই তথ্যগুলো দেখানোর জন্য কেউ কম্পিউটার নিয়ে বসে আছে? -না, এর জন্য কেউ কম্পিউটার নিয়ে বসে নেই। যদি তাই হতো তাহলে গুগলে প্রতি মিনিটে মিলিয়ন মিলিয়ন সার্চ হয়।

আর এই মিলিয়ন মিলিয়ন তথ্য দেয়ার জন্য গুগলেও মিলিয়ন মিলিয়ন কর্মচারি থাকতে হতো। যা একেবারেই অসম্ভব।

আর এই অসম্ভব কাজটিকে সম্ভব করা হয়েছে Programme এর মাধ্যমে। এখানে আপনার বা আমার মতো কোনো মানুষ প্রোগ্রামিং করে একটি রোবট তৈরি করে রেখেছে। যখন আমরা গুগলে কিছু সার্চ করি, তখন এই রোবোট আমাদের সঠিক তথ্যগুলো দিয়ে থাকে।

এখন প্রশ্ন হলো, সার্চ ইন্জিনের এই রোবোট গুলোতে এমন কি থাকে। যার কারনে আমরা যা লিখেই সার্চ করি না কেন, তার সঠিক তথ্য প্রদান করে?

সার্চ ইন্জিনের এই রোবোট গুলোতে মাএ ২ টি জিনিস থাকে।যথাঃ

  1. ক্রলার
  2. ইনডেক্সার
  3. স্পাইডার

দেখুন, একটি মানুষের শরীর যেমন হাত, পা,মাথা, ফুসফুস ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমন্বয়ে তৈরি। ঠিক তেমনি ক্রলার ও ইনডেক্সার এবং স্পাইডার হলো কোনো সার্চ ইন্জিনের ফুসফুস। এই কথাটি শোনার পর হয়তবা আপনার হাসি পেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনের আবার ফুসফুস হয় নাকি!  তাহলে শুনুন, 

ক্রলার কি কাজ করে?

যখন আপনি নতুন কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করার পর। সেই ওয়েবসাইটকে কোনো সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজ করবেন। তখন সেই সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার এসে আপনার ওয়েবসাইট কে পর্যবেক্ষন করবে।

আপনি কি নিয়ে কাজ করছেন, আপনান ওয়েবসাইট কোন ধরনের অডিয়্যান্সকে টার্গেট করছে ইত্যাদি বিষয়াদি গুলোকে ক্রলার পর্যবেক্ষন করে। এবং এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় ক্রলিং (Crawling).

ইনডেক্সার কি কাজ করে?

যখন ক্রলার বুঝতে পারে যে, আপনার ওয়েবসাইটের মূল বিষয়টি বুঝতে পারে। তখন আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টসহো যাবতীয় তথ্যগুলো ইনডেক্সারের কাছে পাঠিয়ে দেয়। তখন ইনডেক্সার এই তথ্যগুলো তার নিজস্ব ডাটাবেজে সংরক্ষণ (Save) করে রাখে। 

স্পাইডার কি কাজ করে?

একটি সার্চ ইঞ্জিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা স্পাইডার। যখন আমরা কোনো বিষয় সম্পর্কে সার্চ করি। তখন যে তথ্যগুলো ইনডেক্সার জমা করে রেখেছিলো। স্পাইডার তখন জমা করা সেই তথ্যগুলোর মধ্যে খুজতে থাকে। আমাদের সার্চ বিষয়ের সাথে তার ইনডেক্সার কোন কোন বিষয়গুলোর মিল আছে।

এরপর স্পাইডার যে যে তথ্যগুলোর সাথে আমাদের সার্চ করা বিষয়গুলির মিল পায়। সেই তথ্যগুলো তখন সার্চ রেজাল্টে শো করে। কি অদ্ভুত, তাইনা?

তবে শুধু গুগল নয়, বরং প্রত্যেকটা সার্চ ইঞ্জিন ঠিক এই নিয়মে কাজ করে থাকে। এখন একটা প্রশ্নের উওর দিন, আপনি এতোক্ষনে কি বুঝলেন?

আমার সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে এতোকিছু লেখার একটা কারন আছে ৷ সেই কারনটা হলো,যখন আপনি এসইও করবেন। তখন শুধু একটা বিষয় মাথায় রাখবেন। সে বিষয়টা হলো, ক্রাউলারকে সঠিকভাবে এটা বোঝাতে হবে যে, আপনি যে ওয়েবসাইটকে এসইও (অপটিমাইজ) করছেন।

সেই ওয়েবসাইটের মূল বিষয়টি কি। অর্থ্যাৎ আপনার কন্টেন্টের মূল থিমটি কি। তা সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারকে সঠিকভাবে বোঝাতে হবে।

এতোক্ষণে এসইও কি এবং সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা পেয়ে গেছেন। এখন আমরা জানবো যে, এসইও এর কাজগুলো কি কি পদ্ধতিতে করা যায়।

এসইও কিভাবে কাজ করে?

আপনি এসইও শিখতে চান, অথচ এসইও কিভাবে কাজ করে যদি সেটিই না জানেন। তাহলে আপনার এসইও শেখাটা অধরাই থেকে যাবে ৷ কারন,যখন আমরা কোনো বিষয় সম্পর্কে শিখবো। তখন আমাদের উচিত সেই বিষয়ক সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া।

ধরুন, আপনার একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ আছে ৷ সেখানে আপনি “অনলাইন ইনকাম” সম্পর্কিত একটি কন্টেন্ট পাবলিশ করলেন। এখন তারমানে এই নয় যে কেউ গুগলে গিয়ে “অনলাইন ইনকাম” – লিখে সার্চ করলে সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটকে প্রথম পেজে শো করবে। সেজন্য আপনাকে Properly SEO করতে হবে বস!

অপরদিকে, আপনি কোনো কন্টেন্টের জন্য এসইও করলেন। তারমানে এই নয় যে, রাতারাতি সেই কন্টেন্টটি গুগলের টপ পজিশনে শো করবে। আপনি এসইও করছেন, তারমানে আপনি সার্চ ইন্জিনকে পজেটিভ সিগন্যাল প্রদান করছেন।

এসইও করার মূল উদ্দেশ্য হলো, আপনি সার্চ ইঞ্জিনকে এটি বোঝাতে চাচ্ছেন যে,আপনার কন্টেন্টে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। যেগুলো সবার জানা দরকার। 

ধরে নিলাম, কোনো কন্টেন্ট পাবলিশ করার পর গুগল আপনার কন্টেন্টকে ২য় পেজে শো করলো। এখন আপনার টার্গেট হলো, সেই কন্টেন্ট কে গুগলের প্রথম পেজের প্রথম সাড়িতে নিয়ে আসা ৷ এখন আপনার কন্টেন্ট কি এমনি এমনি প্রথম পেজে আসবে? -না, এরজন্য আপনাকে আপনার কন্টেন্টকে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে হবে।

যদি আপনার কন্টেন্টকে গুগল ২য় পেজে শো করে। তারমানে গুগল ক্রলার কিছুটা হলেও বুঝে গেছে যে, আপনি কোন টপিকে কন্টেন্ট পাবলিশ করেছেন। এখন আপনার পালা,কন্টেন্ট পাবলিশ করার পর আপনাকে পুনরায় সেই কন্টেন্টকে অপটিমাইজ করতে হবে।

আপনার জন্য আরো আছে…

যেন গুগল ক্রলার আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারে।

এভাবে ধীরে ধীরে আপনি যতো এসইও এর টেকনিক গুলো প্রয়োগ করবেন। গুগল ক্রলার ঠিক ততোটাই আপনার কন্টেন্টের মমার্থ সম্পর্কে বুঝতে পারবে।

ধরে নিলাম আপনি আপনার কন্টেন্টকে শতভাগ অপটিমাইজেশন করে ফেলেছেন। এখন কেউ যদি ” অনলাইন ইনকাম” লিখে গুগলে সার্চ করে। তখন গুগল স্পাইডার তার ডেটাসেন্টারে “অনলাইন ইনকাম” নিয়ে কোনো তথ্য ইনডেক্স করা আছে কিনা। সেটি খুজে বের করার চেষ্টা করবে।

এখন আপনি যদি সঠিকভাবে এসইও করার মাধ্যমে গুগল ক্রলারকে এটি বোঝাতে পারেন যে, আপনার কন্টেন্টটি “অনলাইন ইনকাম” সম্পর্কে লেখা ৷ তাহলে গুগল স্পাইডার অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টকে সার্চ রেজাল্টের টপ পজিশনে শো করবে।

শুধু এইটুকু মনে রাখবেন যে, এসইও হলো ধীরগতি সম্পন্ন একটি কাজের প্রক্রিয়া। এই সেক্টরে কাজ করার সাথে সাথে কাজের ফলাফল আশা করাটা বোকামি। 

এসইও কত প্রকার?

এ বিষয়টি নিয়ে আমার একটু দ্বিমত রয়েছে। কারন এমন অনেক ব্লগার আছেন, যারা বলে এসইও ২ (দুই) প্রকার ৷ আবার কেউ বলে ৪ (চার) প্রকার ৷ তবে আমার দৃষ্টিকোন থেকে এসইও হলো ৩ ( তিন) প্রকার ৷ যেমন, 

  1. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
  2. গ্রে হ্যাট এসইও এবং
  3. হোয়াইট হ্যাট এসইও

এখন আপনার মনে হতে পারে, এসইও শিখতে এসে আমি কেন আপনাকে কালো টুপি আর সাদা টুপির কথা বলছি। যদি আপনি এমনটা ভেবে থাকেন, তাহলে শুনুন…

আমরা এসইও কেন করি? -ওয়েবসাইটে বেশি ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য, তাইনা? এখন আপনি এই ভিজিটর মূলত ৩ টি মাধ্যমে নিয়ে আসতে পারবেন। তাই আপনাকে এই তিনটি মাধ্যম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। 

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও

যখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য কোনো অবৈধ পন্থা অবলম্বন করবেন ৷ তখন সেই অবৈধ পন্থাকে বলা হবে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও। আপনি জানলে অবাক হবেন কারন, ব্ল্যাক হ্যাট টেকনিক ফলো করেও যেকোনো ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমানে ভিজিটে নিয়ে আসা সম্ভব।

যদি আপনি এই ব্ল্যাক হ্যাট টেকনিক ফলো করে ভিজিটর আনতে চান। তাহলে আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে, 

  1. কিওয়ার্ড স্টাফিং
  2. ক্লিকবেট টাইটেল
  3. অজস্র ব্যাকলিং

এখন আপনার মনের কোণে একটি কথা উঁকি দিতে পারে। যদি ব্ল্যাক হ্যাট টেকনিক ফলো করে ভিজিটর নিয়ে আসা যায়। তাহলে এই টেকনিক ফলো করলেই তো হয়।বাকি টেকনিক গুলো ফলো করে লাভ কি?

তাহলে শুনুন, Black hat Seo এর যতো রকম টেকনিক আছে। তার সবগুলোই হলো, গুগলকে বোকা বানানোর টেকনিক। যখন আপনি এটা বুঝতে পারবেন যে, গুগল আসলে কোন এলগরিদম এ কাজ করে।

তখন আপনি এটাও বুঝে যাবেন যে, কোন কোন কাজ গুলো করলে গুগলকে বোকা বানানো যাবে। এই ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে একপ্রকার ফোর্সড করা হয়।যেন তারা আপনার ওয়েবসাইটকে Ranking প্রদান করে।

তাহলে একটা বিষয় জেনে রাখুন, আপনি যতোদিন এই SEO সেক্টরে কাজ করবেন ৷ ততোদিন কখনই কোনো সার্চ ইঞ্জিনকে বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না ৷ যেমন, আপনি Black hat টেকনিক ফলো করে গুগল থেকে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন, এটা সত্যি।

কিন্তুু একটা সময় গুগল ঠিকই বুঝতে পারবে যে, আপনি আসলে তাদেরকে ঠকানোর জন্য অবৈধ পন্থা অনুসরণ করেছেন ৷ এরপর তারা আপনার ওয়েবসাইটকে তাদের সার্চ এলগরিদম থেকে একেবারে পেনাল্টি দিয়ে দিবে। আর একবার যদি আপনার সাইটকে পেনাল্টি দিয়ে দেয়। 

তাহলে সার্চ ইঞ্জিনের Top Ranking তো দুরের কথা। আপনার সাইটকে হ্যারিকেন দিয়ে খুজলেও আর খুজে পাওয়া যাবে না।  

গ্রে হ্যাট এসইও

এসইও সেক্টরে ভালো এবং খারাপের মাঝামাঝি যে টেকনিক রয়েছে। তাকে বলা হয় গ্রে হ্যাট এসইও। বেশিরভাগ ব্লগার বা এসইও এক্সপার্টরা এই গ্রে হ্যাট এসইওকে পছন্দ করে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, “গ্রে হ্যাট এসইও এর কোনো সাইড ইফেক্ট নেই?”

হুমম, গ্রে হ্যাট টেকনিকেরও ব্যাপক সাইড ইফেক্ট রয়েছে। তবে একটা কথা আছেনা, “চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা, যদি না পড়ো ধরা”। ঠিক গ্রে হ্যাট এসইও এর ক্ষেএেও বিষয়টি একই রকম। যদি সার্চ ইন্জিন আপনার টেকনিক বুঝতে না পারে, তাহলে আপনি বেশ। আর যদি কোনোভাবে বুঝতে পারে, তাহলে তুমি শেষ। 

হোয়াইট হ্যাট এসইও

এসইও এর যতো টেকনিক আছে, তার মধ্যেও সবচেয়ে Safe এবং legal হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও। আর আপনি যখন হোয়াইট হ্যাটের সবগুলো টেকনিক সম্পর্কে বুঝতে পারবেন। তখন আপনিও নিজেকে একজন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে দাবী করতে পারবেন।

যেহুতু সকল এসইও টেকনিকের মধ্যে হোয়াইট হ্যাট এসইও সবচেয়ে সেফ এবং লিগ্যাল। তাই আজকের আর্টিকেলে আমি শুধুমাএ হোয়াইট হ্যাট এসইও নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

কিভাবে এসইও করতে হয়?

পৃথিবীতে যতো এসইও এক্সপার্ট আছে। তারা সবাই মূলত ২ (দুই) ভাবে এসইও করে। যথাঃ

  1. অর্গানিক এসইও
  2. পেইড এসইও

কোনো ওয়েবসাইট কে সার্চ Ranking এ টপ পজিশনে নিয়ে আসার জন্য এই ২ ধরনের এসইও করা হয়। আর  এই দুই পদ্ধতিতে এসইও করলে নিজের চাহিদা অনুযায়ী ভিজিটর নিয়ে আসা সম্ভব। চলুন, এবার এই দুটি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

পেইড এসইও কি?

যদি আপনি পেইড এসইও করার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে বিপুল পরিমানে অর্থ ব্যয় করতে হবে। অর্থের বিষয়ে আলোচনা করার আগে আমরা জেনে নিবো পেইড এসইও কিভাবে করতে হয়।

ধরে নিলাম, আপনি গুগলের মাধ্যমে পেইড এসইও করতে চান। তো সর্বপ্রথম আপনাকে গুগলকে আপনার টার্গেটেড Keyword দিতে হবে। অর্থ্যাৎ আপনি কোন কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে চান। সেটি গুগলকে আগে থেকেই জানিয়ে দিতে হবে।

এরপর গুগল আপনাকে ইনফর্ম করবে যে, আপনি যে Keyword কে টার্গেট করেছেন। সেই কিওয়ার্ডে পেইড এসইও করার জন্য, আপনাকে ঠিক কত টাকাদিতে হবে। সেটা গুগল আপনাকে আগে থেকেই জানিয়ে দিবে।

সর্বশেষ যখন আপনি গুগলের পেমেন্ট কমপ্লিট করবেন। তখন আপনার একটি Campaign Start হয়ে যাবে। এরপর থেকে আপনার  টার্গেট করা Keyword সম্পর্কে যদি কেউ গুগলে সার্চ করে।

তাহলে সার্চ রেজাল্টের সবার উপরে আপনার ওয়েবসাইটকে শো করবে। এই পদ্ধতিকে বলা হয় পেইড এসইও।

অর্গানিক এসইও

যখন আপনি কোনো প্রকার টাকা ছাড়াই, বিভিন্ন টেকনিক অবলম্বন করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসবেন। তখন ভিজিটর নিয়ে আসার সেই টেকনিক গুলোকে বলা হয় অর্গানিক (Organic) এসইও।

আপনি কি জানেন, সেই টেকনিক গুলো কি কি? যার মাধ্যমে কোনো টাকা খরচ না করেই ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা সম্ভব! যদি না জেনে থাকেন, তাহলে শুনুন…

শুধুমাএ ৩ টি টেকনিকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন। যথাঃ

  1. অন পেজ এসইও 
  2. অফ পেজ এসইও 
  3. টেকনিক্যাল এসইও

উপরে আলোচিত এই তিনটি টেকনিক হলো এসইও এর অন্তর্ভুক্ত। এই বিষয় গুলো নিয়ে ইতিমধ্যেই আমার ওয়েবসাইটে পোষ্ট পাবলিশ করা আছে। এরপরেও আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে আমি স্বল্প আকারে আলোচনা করবো। 

অনপেজ এসইও কি?

যখন আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে৷ তখন সেই ওয়েবসাইটের ভেতর থেকে SEO করবেন। তখন তাকে বলা হবে, অনপেজ এসইও। এখন প্রশ্ন হলো,অনপেজ এসইও কাকে বলে, সেটা তো বুঝলেন৷ কিন্তুু এর জন্য আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে? চলুন এবার সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক। 

অনপেজ এসইও করার জন্য আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে, 

  • Title optimize 
  • Meta tag
  • Optimise Description 
  • SEO Friendly Content
  • Keyword research 
  • Keyword placement
  • LSI keywords 
  • Content Longer 
  • Tag
  • Category 
  • Menu placement 
  • Https 
  • SSL Certificate 
  • Robots.txt

উপরে উল্লেখিত সবগুলো পয়েন্ট হলো অনপেজ এসইও এর আওতাভুক্ত। আপনাকে অবশ্যই সবগুলো পয়েন্ট মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। কারন আমি আর্টিকেলের শুরুতেই বলেছিলাম। আপনি যেভাবেই এসইও করেন না কেন।

সর্বপ্রথম ক্রলারকে এই বিষয়টি বুঝিয়ে দিতে হবে যে আপনার ওয়েবসাইটটি আসলে কোন টপিক নিয়ে কাজ করছে। 

আর ক্রলারকে আপনার ওয়েবসাইটের টপিক সম্পর্কে বুঝিয়ে দেয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো অনপেজ এসইও। এখন প্রশ্ন হলো, যখন কোনো সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।

তখন সে আপনার ওয়েবসাইটের কোন কোন বিষয়গুলোতে নজর দিবে?

যখন ক্রলার আপনার ওয়েবসাইটকে ক্রলিং করবে। তখন সর্বপ্রথম আপনার ওয়েবসাইটের Title, Meta Tag, এবং Description কে ক্রল করবে। এরপর দেখবে আপনি কোন কোন Keyword এর উপর কন্টেন্ট লিখছেন। .

আপনার কন্টেন্ট গুলো অপটিমাইজ কিনা। আপনার কন্টেন্টের কোয়ান্টিটি কেমন ইত্যাদি বিষয়গুলো ক্রল করার পর যে তথ্যগুলো পাবে। সেই তথ্যগুলো ইনডেক্সারের মাধ্যমে সার্চ ইন্জিনের ডাটা সেন্টারে ইনডেক্স করবে। 

তাই যখন আপনি এসইও এর প্রাথমিক পর্যায়ে থাকবেন। তখন অনপেজ এসইও কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিবেন। 

অফ পেজ এসইও কি?

যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে অপটিমাইজ করার কাজ করবেন। তখন অপটিমাইজেশনের সেই কাজ গুলোকে বলা হবে, অফপেজ এসইও

আপনি জানলে অবাক হবেন, একটি ওয়েবসাইটকে ব্যাপক মাএায় জনপ্রিয় করা সম্ভব এই অফ পেজ এসইও টেকনিকের মাধ্যমে। আমরা তো জানি, একটি ওয়েবসাইটের Ranking এর জন্য DA এবং PA কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে অফপেজ এসইও করতে পারেন।

তাহলে খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইটের DA এবং PA কে বৃদ্ধি করতে পারবেন। 

চলুন এবার জেনে নেই, অফপেজ এসইও করার জন্য কোন টেকনিক গুলো ফলো করতে হয়।

  • Backlink
  • Social Authority 
  • Local Business etc

দেখুন, অফ পেজ এসইও করার বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য গুলো হলো,

  • Domain এর Ranking increase করা
  • Content Keyword কে Ranking প্রদান করা
  • Domain এর DA ও PA বৃদ্ধি করা

কোনো সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট কে তখনি Ranking প্রদান করবে। যখন আপনার ডোমেইনের অথোরিটি বৃদ্ধি পাবে।এখন প্রশ্ন হলো,একটি ডোমেইনের অথোরিটি কখন বৃদ্ধি পায়? 

সেজন্য শুরুতে আপনাকে জানতে হবে, DA এবং PA কি জিনিস। DA এর ফুল অর্থ হলো, Domain Authority. অর্থ্যাৎ, প্রত্যেকটি ডোমেইনের একটি নির্দিষ্ট স্কোর আছে।

যেমন, আপনার ডোমেইনটি যদি নতুন হয়, তাহলে আপনার ডোমেইনের স্কোর হবে ১০০% এর মধ্যে ০- ১%.যখন আপনি অফ পেজ টেকনিক ফলো করে আপনার ডোমেইনের এসইও করবেন, তখন ধীরে ধীরে আপনার ডোমেইনের স্কোরও বৃদ্ধি পাবে। 

অপরদিকে, PA এর ফুল অর্থ হলো Page Authority. যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পেজ ও কন্টেন্টের জন্য অফ পেজ এসইও করবেন। তখন ডোমেইন অথোরিটির মতো Page Authority ও বৃদ্ধি পাবে।

কিন্তুু এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, কেন আপনার ডোমেইন অথোরিটি এবং পেজ অথোরিটি বৃদ্ধি পাবে?

এর প্রধান কারন হলো, Backlink এবং Social sharing. দেখুন, ব্যাকলিংকের মূল কাজ হলো অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইকে লিংকিং (Linking) করা। যখন ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাইটকে লিংক প্রদান করবে ৷

এর মানে হলো অন্যান্য ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একপ্রকার সুপারিশ প্রদান করবে। এই বিষয়টি সার্চ ইঞ্জিনকে পজেটিভ সিগন্যাল প্রদান করবে৷ এর কারন কি জানেন?

আরো পড়ুন…

যখন ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সুপারিশ করবে। তখন সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার ভেবে নিবে, আপনার ওয়েবসাইটে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে। যার কারনে সবাই আপনার সাইটকে Link প্রদান করছে। এরপর সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটকে ধীরে ধীরে Ranking দেওয়া শুরু করবে। 

টেকনিক্যাল এসইও কি?

আপনি অনপেজ এসইও করলেন এবং অফ পেজ এসইও করলেন, এরমানে এই নয় যে গুগল এখন আপনার ওয়েবসাইটকে Rank করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে। এর মধ্যে আরও একটি হিডেন এসইও টেকনিক আছে। যার নাম Technical SEO.

এমন অনেকেই আছেন, যারা এসইওকে শুধু অনপেজ আর অফপেজ নিয়ে আলোচনা করে। এর মাঝে টেকনিক্যাল এসইও যে কতটা গুরুত্বপূর্ন, সেটা আপনি জানলে রিতীমত অবাক হবেন।

এখন আপনি শতভাগ অফপেজ এবং অনপেজ এসইও করলেন। কিন্তুু টেকনিক্যাল এসইওকে তেমন একটু গুরুত্ব দিলেন না। তাহলে আপনাকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো, আপনার ওয়েবসাইটকে আপনি জীবনেও Rank করাতে পারবেন না। এর কারন কি জানেন?

কারন জানার আগে আপনাকে জানতে হবে, এমন কোন বিষয়গুলো রয়েছে৷ যেগুলো টেকনিক্যাল এসইও এর আওতায় পড়ে। সেই বিষয়গুলো হলো,

  • Sitemap & Robots.txt file upload
  • Crawler error fixing
  • Duplicate content
  • 301 redirects
  • URL structure
  • SSL certificate
  • Website structure & Design
  • Page Loading speed
  • Mobile Usability,

ধরে নিন, আপনার ওয়েবসাইট কোনো একটি Keyword এ গুগলের টপ Rank এ আছে। এর মানে সেই কিওয়ার্ড কেউ সার্চ করলে সবার উপরে আপনার ওয়েবসাইটকে শো করবে।

এখন কোনো ভিজিটর যখন আপনার Rank করা লিংকে ক্লিক করে। কিন্তুু আপনার সাইটের Loading Speed এতোটাই বেশি যে, সাইটে ঢুকতেই 30 Seconds সময় নেয়।

এখন কোনো ভিজিটর কি আপনার লিংকে ক্লিক করার পর ৩০ সেকেন্ড ধরে অপেক্ষা করবে? -না, কখনোই না। বরং আপনার লিংক থেকে বের হয়ে পুনরায় অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। এর ফলে আপনার কি ক্ষতি হবে জানেন?

এখন গুগল ভাববে, ভিজিটর আপনার লিংকে ক্লিক করার সাথে সাথেই বের হয়ে গেলো। এবং অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলো। এরমানে আপনার কন্টেন্টে এমন কিছুই নেই, যা থেকে ভিজিটররা কিছু জানতে পারবে। এবং ভিজিটররা যখন এই কাজটি বারবার করতেই থাকবে।

তখন গুগল আপনার Ranking কে Down↓ করতে থাকবে। অর্থ্যাৎ,আপনি যদি 1st পজিশনে থাকেন। তাহলে আস্তে আস্তে 2nd পজিশন,তারপর 3rd Position একপর্যায়ে দেখবেন যে আপনার সাইটকে প্রথম পেজ থেকে সরিয়ে নিয়ে একেবারে ২য় বা ৩য পেজে অবস্থান দিবে। যা কখনোই কাম্য নয়।

আর এই সমস্যার সমাধান করার জন্য উপযুক্ত মাধ্যম হলো, টেকনিক্যাল এসইও। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের এই রিলেটেড যতো সমস্যা থাকবে। তার সবগুলোর সমাধান করতে পারবেন। 

এসইও করার টুলস (Tools)

SEO করার সময় ভিন্ন ভিন্ন কাজ করতে হয়। আপনি যদি সেই কাজগুলো ম্যানুয়ালি করতে চান, তাহলে আপনাকে অনেক সময় ব্যয় হবে। তবে আপনার ম্যানুয়ালি যে কাজ করতে ১ দিন সময় লাগবে। সেই কাজ যদি কোনো Tools দিয়ে করেন। তাহলে ১ মিনিটেই সেই কাজ করতে পারবেন। 

অনলাইনে SEO করার জন্য ২ (দুই) ধরনের টুলস পাবেন। যথাঃ

  • পেইড টুলস (Paid Tools)
  • ফ্রী টুলস (Free Tools)

যদি আপনার সামর্থ্য থাকে, তাহলে আপনি পেইড টুলস ব্যবহার করতে পারবেন ৷ আর যদি আপনার সেই সুযোগ না থাকে, তাহলে এমন অনেক Free Tools আছে। যার সাহায্যে আপনি এসইও রিলেটেড অনেক কাজ করতে পারবেন। চলুন এবার সেই টুলস গুলোর নাম জেনে নেই। 

১। পেইড টুলসের কি কি?

বর্তমানে অনেক Paid Tools রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনার এসইও রিলেটেড যেকোনো কাজ, খুব কম সময়ে করতে পারবেন। এমন কিছু টুলসের নাম হলো,

  • SEO Spider
  • Ahrefs
  • SEMrush
  • Moz Pro
  • KWFinder
  • Searchmetrics
  • Yoast SEO 

এই টুলস গুলো ব্যবহার করতে হলে মাসিক অথবা বাৎসরিক কিছু পরিমান টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হবে ৷ তবে যারা এসইও সেক্টরে নতুন, তারা এই টুলসগুলো Groupby সিস্টেমে ব্যবহার করতে পারবেন। 

২। ফ্রি টুলস কি কি?

যদি আপনি নতুন এসইও শেখা করে থাকেন। কিংবা আপনার Paid Tools ব্যবহার করার মতো সামর্থ্য না থাকে। তাহলে আপনি এসইও রিলেটেড Free Tools গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। কারন এমন অনেক ফ্রী টুলস আছে,যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো কাজ খুব কম সময়ের মধ্যে করতে পারবেন।

এমন কিছু ফ্রি টুলসের নাম হলোঃ

  • Google Analytics
  • Google Trands
  • Search Console
  • Keyword Hero
  • Screaming Frog
  • SEOlyzer
  • Answer The Public
  • Keyword Planner
  • Keyword Surfer
  • Ubersuggest

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক ফ্রি টুলস আছে। আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন। তাহলে কমপক্ষে শ’খানেক Free Tools এর লিষ্ট পেয়ে যাবেন৷ 

এসইও থেকে ইনকাম করা যায়?

হ্যাঁ,অবশ্যই! এমন অনেকেই আছেন, যারা এসইও সার্ভিস দিয়ে বিপুল পরিমান ইনকাম করতে পেরেছেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে দেখলেই বুঝতে পারবেন। যারা SEO Service প্রোভাইড করে, তাদের ডিমান্ড কেমন।

যদি আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি ৩ টি পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন,

১। ব্লগ /ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম 

যদি আপনার এসইও জানা থাকে, তাহলে আপনি একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এরপর সেই ব্লগে বিভিন্ন কন্টেন্ট পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স বা এডসেন্সের মতো বিভিন্ন Ad Network থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

এছাড়াও বর্তমানে ই-কমার্সের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে, আপনিও একটা Products Selling ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই প্রোডাক্ট গুলো সেল করে মানসম্মত ইনকাম করতে পারবেন।  

২।ফ্রীল্যান্সিং করে ইনকাম

সময় যতো অতিবাহিত হচ্ছে,ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা ঠিক ততোটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। কিন্তুু সমস্যা হলো, যারা এই ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করছে ৷

তারা অনেকেই এসইও করতে পারেনা, আবার অনেকেই আছেন যারা এসইও করার জন্য সময় দিতে পারেন না। আর এটা তো আপনি জানেন, এসইও ছাড়া কোনো ওয়েবসাইট কে Rank করানো অসম্ভব।

এখন আপনি যদি এসইও এক্সপার্ট হয়ে থাকেন। তাহলে এইসব নতুন ওয়েবসাইটের জন্য এসইও সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন৷ 

৩। কোর্স সেল করে ইনকাম

এমন অনেকেই আছেন, যারা এসইও সেক্টরে একেবারে বিগেনার লেভেলের। যারা এই পর্যায়ে আছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই কোর্স কিনে এসইও শিখতে চায়। 

আপনি যদি এই মানুষ গুলোকে টার্গেট করে আপনার কোর্স সেল করতে পারেন।তাহলে আপনি শুধুমাত্র কোর্স বিক্রি করেই বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। 

এসইও শিখতে কতদিন লাগে?

আসলে এই প্রশ্নের উত্তরটি সঠিকভাবে দেয়া সম্ভব না ৷ কারন কোনো একটি বিষয় শিখতে যদি আমার সাত দিন লাগে ৷ সেই বিষয়টি আপনি ৩ দিনেই শিখে নিতে পারেন। তাই এটা সঠিকভাবে বলা অসম্ভব যে,এসইও শিখতে আপনার মোট কতদিন লাগবে। 

তবে আমি আপনাকে একটু আইডিয়া দিতে পারবো। আপনি শুধুমাত্র ৩০ দিন সময় হাতে রাখবেন। এই ৩০ দিনে আপনি দৈনিক এসইও রিলেটেড ২ টা করে ব্লগ এবং ২ টা করে ভিডিও দেখবেন। এরপর প্রথম দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত যা কিছু শিখবেন। সেগুলো Practice করা শুরু করবেন। 

যখন আপনি Practice করবেন, তখন আপনি নিজে থেকেই অনেক টেকনিক আয়ওে আনতে পারবেন। গুগল একটি ওয়েবসাইটকে কখন Rank করায়,কেন Rank করায় ইত্যাদি বিষয়গুলো বুঝতে পারবেন। 

 

এই প্রাকটিস করার জন্য আপনার হাতে ৯০ দিন অর্থ্যাৎ তিন মাস সময় নিবেন। যখন আপনি একটানা তিন মাস এসইও প্রাকটিস করবেন। তখন আপনার নিজে থেকেই SEO এর প্রতি আলাদা একটা ভালোলাগা জন্ম নেবে। এবং এই ভালোলাগা আপনাকে একদিন এসইও এক্সপার্ট হতে সহায়তা করবে।

তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন। আপনি এসইও এর যে টেকনিক গুলো শিখবেন৷ সেগুলো যে সারাজীবন কাজে আসবে, বিষয়টা এমন নয়। কারন সার্চ ইঞ্জিনের এলগরিদম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়।

হয়তবা আজকে যে টেকনিক গুলো ফলো করে আপনার ওয়েবসাইটকে Rank করাতে পারবেন। ভবিষ্যতে সেই টেকনিক গুলো কাজ নাও করতে পারে। তাই বলে হতাশ হলে চলবে না, বরং নিজেকে আপ টু ডেট রাখতে হবে। 

আমাদের শেষকথাঃ

দেখুন যদি এসইওকে পূর্নাঙ্গভাবে ব্যাখা করতে যাই। তাহলে একটি আর্টিকেল বা একটি ভিডিওতে আলোচনা করা সম্ভব না। মনে রাখবেন, SEO হলো বিশাল একটি সমুদ্র। আপনি এই সমুদ্রের যতো গভীরে যাবেন। আপনি এসইও সম্পর্কে ততোই নতুন তথ্য জানতে পারবেন। 

কিন্তুু এরপরও আমি চেস্টা করছি, এই আর্টিকেলে এসইও রিলেটেড মূল টপিক গুলোকে ফোকাস করার। তাই শেষবারের মতো একটা কথা বলবো। যদি আপনি এই আর্টিকেলটি স্কিপ করে এই পর্যন্ত এসে থাকেন। তাহলে পুনরায় আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ার অনুরোধ রইলো। কারন, প্রবাদে আছে “যতো পড়বেন, ততো শিখবেন”।

Post a Comment

أحدث أقدم