SEO এর পূর্ণরূপ Search Engine Optimization (সার্স ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)। এসইও এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনগুলির জন্য সর্বোচ্চকরণ করা হয়। এসইও একটি কৌশল যার মাধ্যমে নিম্নের কাজগুলো করা হয়ঃ
1. একটি ওয়েবসাইটকে এমনভাবে ডিজাইন এবং ডেভেলপ করা যেন সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে এটির র্যাংক হয় সর্বোচ্চ।
2. সার্স ইঞ্জিন থেকে ওয়েবসাইট ট্রাফিকের পরিমাণ এবং মান বৃদ্ধি করা।
3. সার্স অ্যালগরিদম কিভাবে কাজ করে এবং সাধারণ মানুষ সার্স ইঞ্জিনে কিভাবে সার্স করতে পারে তা বোঝার মাধ্যমে মার্কেটিং করা।
এসইও হল সার্স ইঞ্জিন মার্কেটিং এর একটি উপসেট(subset)। এসইওকে এসইও কপিরাইট হিসাবেও উল্লেখ করা হয়, কারণ সার্স ইঞ্জিনগুলিতে বেশিরভাগ কৌশলই সাইট প্রচার(promote) করার জন্য ব্যবহৃত হয় যা টেক্সট নিয়ে ডিল(deal) করে।
আপনি যদি এসইও এর কিছু বেসিক বিষয় নিয়ে করেন, তবে আপনাকে প্রথমেই জানতে হবে সার্চ ইঞ্জিনগুলি কিভাবে কাজ করে।
এসইও কপিরাইটিং কি(What is SEO Copywriting)?
এসইও কপিরাইটিং(Copywriting) একটি ওয়েব পেজে পাঠযোগ্য পাঠ্য(text) লেখার কৌশল, যেন ইন্টারনেট ইউজাররা এগুলো ভালভাবে পড়তে পারে। এই পাঠ্যে বিভিন্ন সার্স টার্মগুলোর প্রতিও লক্ষ্য রাখা হয়, যেন লক্ষ্যযুক্ত সার্স টার্মগুলোকে সার্স ইঞ্জিন সার্স রেজাল্টের উপরের দিকে স্থান দেয়।
পঠনযোগ্য পাঠ্যের পাশাপাশি, এসইও কপিরাইটিং সাধারণত লক্ষ্যযুক্ত সার্স টার্মগুলোর জন্য অন্যান্য অন-পেজ উপাদানও অপ্টিমাইজ করে। এগুলোর মধ্যে সাধারণত Title, Description, Keyword tag, heading এবং alternative text অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এসইও কপিরাইটের মূল কারণ হল সার্স ইঞ্জিনসমূহ প্রকৃত কন্টেন্ট পেজ চায় এবং কখনোই অতিরিক্ত পেজ নয় যা প্রায়শই "ডোরওয়ে পেজ" নামে পরিচিত (যা শুধুমাত্র উচ্চ র্যাংকিং অর্জনের উদ্দেশে তৈরি করা হয়)।
সার্চ ইঞ্জিন র্যাংক কি(What is Search Engine Rank)?
আপনি যখন কোন সার্স ইঞ্জিনের কাছে কোন কীওয়ার্ড অনুসন্ধান(search) করেন, তখন এটি এর ডাটাবেজে পাওয়া হাজার হাজার ফলাফল প্রদর্শন করে। আপনার ব্রাউজারে সার্স ইঞ্জিনের ফলাফলে প্রদর্শিত ওয়েব পেজের অবস্থানের ভিত্তিতে একটি ওয়েব পেজের র্যাংক পরিমাপ করা হয়। যদি কোন সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েব পেজকে প্রথম অবস্থানে রাখে তবে আপনার ওয়েব পেজের র্যাংক হবে ১ নম্বর এবং এটিকে সর্বোচ্চ র্যাংক বিশিষ্ট ওয়েব পেজ হিসাবে গণ্য করা হবে।
এসইও হল সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে সর্বোচ্চ র্যাংক অর্জনের লক্ষ্যে একটি ওয়েবসাইটকে ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের প্রক্রিয়া।
অন-পেজ এবং অফ-পেজ এসইও কি?
তত্ত্বগতভাবে , অপ্টিমাইজেশন এর দুটি উপায় রয়েছেঃ
1. অন-পেজ এসইও(On-Page SEO) - এতে রয়েছে ভাল কন্টেন্ট লেখা, ভাল কীওয়ার্ড নির্বাচন, সঠিক জায়গায় কীওয়ার্ড স্থাপন, প্রতিটি পেজের জন্য উপযুক্ত নাম তথা শিরোনাম দেওয়া ইত্যাদি।
2. অফ-পেজ এসইও(Off-Page SEO) - এতে রয়েছে লিংক বিল্ডিং, ওপেন ডিরেক্টরি, সার্চ ইঞ্জিন, লিংক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি সাবমিট করে লিংকের জনপ্রিয়তা বাড়ানো ।
সার্স ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে(How Search Engine Work)?
সার্স ইঞ্জিনসমূহ সার্স রেজাল্ট দেখানোর জন্য বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে থাকেঃ
1. ক্রলিং(Crawling) - একটি ওয়েবসাইটের সাথে লিংকযুক্ত সমস্ত ওয়েব পেজ আনার প্রক্রিয়া। এই কাজটি একটি সফ্টওয়্যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, যাকে বলা হয় ক্রলার বা মাকড়সা বা গুগলবোট (গুগলের ক্ষেত্রে)।
2. ইনডেক্সিং(Indexing) - আনীত সমস্ত ওয়েব পেজের জন্য ইনডেক্স তৈরি এবং এগুলিকে পরে যেন পুনরুদ্ধার করা যায় এমন এক বিশাল ডাটাবেসে রাখার প্রক্রিয়া। মূলত, সূচীকরণ(indexing) প্রক্রিয়াটি সেই শব্দ এবং এক্সপ্রেশনগুলি চিহ্নিত করে যা পেজকে সর্বোত্তমভাবে বর্ণনা করে এবং পেজকে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড দিয়ে নির্দিষ্ট করে।
3. প্রসেসিং(Processing) - যখন কোন সার্স এর অনুরোধ আসে, সার্স ইঞ্জিন এটি প্রসেস করে। অর্থাৎ এটি সার্সের অনুরোধে সার্স স্ট্রিংটিকে ডাটাবেসের ইনডেক্স পেজগুলোর সাথে তুলনা করে।
4. প্রাসঙ্গিকতা গণনা(Calculating Relevancy) - সম্ভবত একাধিক পেজে সার্স স্ট্রিংটি ধারণ করতে পারে, তাই সার্স ইঞ্জিন তার সূচিতে থাকা প্রতিটি পেজের সার্স স্ট্রিংয়ের সাথে প্রাসঙ্গিকতা গণনা শুরু করে।
5. ফলাফল পুনরুদ্ধার(Retrieving Result)- সার্স ইঞ্জিন তার ক্রিয়াকলাপের শেষ ধাপে সর্বোচ্চ মিলসম্পন্ন ফলাফলসমূহ পুনরুদ্ধার করে এবং ব্রাউজারে কেবল সেগুলোই প্রদর্শন করে।
গুগল এবং ইয়াহু এর মতো সার্স ইঞ্জিনসমূহ প্রায় প্রতি মাসেই বহুবার তাদের প্রাসঙ্গিকতা অ্যালগরিদম আপডেট করে। আপনি যখন আপনার সাইট র্যাংকিংয়ে পরিবর্তন দেখবেন তখন বুঝে নিবেন, এটি হয়ত কোন অ্যালগোরিদমিক শিফট বা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে অন্য কোনও কারণে হয়েছে।
সমস্ত সার্চ ইঞ্জিন পরিচালনার মৌলিক নীতি একই হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রাসঙ্গিকতা অ্যালগরিদমের মধ্যে সামান্য পার্থক্যের জন্য ফলাফল প্রাসঙ্গিকতায় বড় ধরণের পরিবর্তন সাধিত হয়।
এসইও কৌশলসমূহকে দুটি বিস্তৃত বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে:
1. হোয়াইট হ্যাট এসইও (White Hat SEO) - সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) এর পরিভাষায়, হোয়াইট হ্যাট এসইও বলতে ওয়েব সাইট অপ্টিমাইজেশানের কৌশল, প্রযুক্তি এবং কর্মপদ্ধতিকে বোঝায়। যার মূল ফোকাস থাকে ইউজারকে সার্স ইঞ্জিনের মাধ্যমে সেরা ফলাফল প্রদান করা। অর্থাৎ আপনি অন্য কোনও কিছুর চেয়ে ইউজারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিবেন।
2. ব্ল্যাক হ্যাট এসইও(Black Hat SEO) - সার্স ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) এর পরিভাষায়, ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বলতে আক্রমণাত্মক এসইও কৌশল, প্রযুক্তি এবং কর্মপদ্ধতিকে বোঝায়। যার মূল ফোকাস থাকে ইন্টারনেট ইউজার এর পরিবর্তে সার্চ ইঞ্জিনের দিকে। এটি সাধারণ সার্স ইঞ্জিনের নির্দেশিকা মানে না।
হোয়াইট হ্যাট এসইও(White Hat SEO)
কোন এসইও কৌশলকে হোয়াইট হ্যাট হিসাবে বিবেচনা করতে হলে নিম্নের বৈশিষ্ট্যগুলো থাকতে হবেঃ
1. এটি সার্চ ইঞ্জিন গাইডলাইনের সাথে একমত পোষণ করে।
2. এটি কোন প্রতারণা/ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় না।
3. এটি এই নিশ্চিত করে যে, সার্স ইঞ্জিন কর্তৃক ইন্ডেক্স করা কন্টেন্ট ও সে অনুযায়ী র্যাংকিং এবং ইউজার যা দেখে তা একই।
4. এটি এই নিশ্চিত করে যে, কোন ওয়েব পেজের কন্টেন্ট কেবল সার্স ইঞ্জিনের জন্য নয়, বরং ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
5. এটি ওয়েব পেজের মান নিশ্চিত করে।
6. এটি ওয়েব পেজের দরকারী কন্টেন্ট এর উপস্থিতি নিশ্চিত করে।
সর্বদা হোয়াইট হ্যাট এসইও কৌশল অনুসরণ করুন এবং আপনার সাইটের পাঠকদের কখনোই বোকা বানানোর চেষ্টা করবেন না। বরং সৎ হন, আপনি অবশ্যই আরও ভালো কিছু পাবেন।
ব্ল্যাক হ্যাট বা স্প্যামডেক্সিং(Black Hat or Spamdexing)
একটি এসইও কৌশল যদি ব্ল্যাক হ্যাট বা স্প্যামডেক্সিং হিসাবে বিবেচিত হয় তবে এর মধ্যে নিম্নের বৈশিষ্ট্যগুলি থাকবেঃ
1. প্রতারণাযুক্ত পেজকে সার্স ইঞ্জিন কর্তৃক অস্বীকৃতি দেয়ার পরও র্যাংকিং উন্নতি করার চেষ্টা।
2. সার্স ইঞ্জিনের জন্য তৈরি পেজ থেকে অন্য পেজে ইউজারদেরকে রিডাইরেক্ট করা যা মূল পেজের চেয়ে আরও বেশি মানব বান্ধব।
3. ইউজারকে এমন কোন পেজে রিডাইরেক্ট করা যা সার্স ইঞ্জিন কর্তৃক র্যাংক করা পেজ থেকে আলাদা।
4. সার্স ইঞ্জিন স্পাইডার/ বোট এর জন্য পেজের এক রকম সংস্করণ এবং মানব ইউজারের জন্য পেজের অন্য রকম সংস্করণ পরিবেশন করা। একে ক্লোকিং(Cloaking) এসইও কৌশল বলা হয়।
5. লুকানো বা অদৃশ্য পাঠ্য(Text) বা পেজের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার ব্যবহার করা, তুলনামূলক ছোট ফন্ট ব্যবহার করে বা তাদেরকে এইচটিএমএল কোডের মধ্যে যেমন "no frame" সেকশনে লুকিয়ে রাখা ।
6. সার্স ইঞ্জিনে অন্যায়ভাবে র্যাংক সুবিধা অর্জনের প্রয়াসে কীওয়ার্ডসমূহকে কোন ওয়েব পেজের মেটা ট্যাগ, দৃশ্যমান কন্টেন্ট বা ব্যাকলিংক অ্যাংকর টেক্সটে লোড করা। এটিকে কীওয়ার্ড স্টাফিং(keyword stuffing) বলা হয়।
7. মেটা ট্যাগে কীওয়ার্ড এর পুনরাবৃত্তি করা এবং ওয়েবসাইটের কন্টেন্টের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন কীওয়ার্ড ব্যবহার করা। একে মেটাট্যাগ স্টাফিং(metatag stuffing) বলা হয়।
8. নিম্নমানের ওয়েব পেজ তৈরি করা যাতে খুব সামান্য কন্টেন্ট থাকে তবে প্রায় অনুরূপ কীওয়ার্ড এবং বাক্যাংশ দিয়ে স্টাফ(stuff) করা হয়। এই পেজগুলিকে ডোরওয়ে বা গেটওয়ে(Doorway অথবা Gateway) পেজ বলা হয়।
9. মিরর ওয়েবসাইটকে একাধিক ওয়েবসাইটে হোস্ট করা - এক্ষেত্রে ধারণার দিক থেকে কন্টেন্ট একই রকমের তবে ইউআরএল ভিন্ন হয়।
10. একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট অসৎ উপায়ে অনুলিপি করা এবং যা কোন ওয়েব ক্রলারে মূল সাইটের মতই কন্টেন্ট দেখায়, তবে ওয়েব ইউজার(সার্ফার)-কে অপ্রাসঙ্গিক বা দূষিত ওয়েবসাইটে রিডাইরেক্ট করে। একে পেজ হাইজ্যাকিং বলা হয়।
আপনার সাইটের র্যাংক উন্নত করার জন্য উপরে উল্লেখিত ব্ল্যাক হ্যাট কৌশল থেকে সর্বদাই দূরে থাকুন। কেননা, সার্স ইঞ্জিন আপনার সাইটে ব্যবহৃত উপরের সমস্ত বৈশিষ্ট্য সনাক্ত করার জন্য যথেষ্ট স্মার্ট এবং শেষ পর্যন্ত আপনি খালি হাতে ফিরবেন, কিছুই পাবেন না।
আপনি যদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনও ব্যবসা-বাণিজ্য করার কথা চিন্তা করেন, তবে প্রথমেই আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইনের নাম নিয়ে ভাবতে হবে। আপনি কোন ডোমেইনের নাম পছন্দ করার আগে, আপনার নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিৎঃ
1. আপনার টার্গেট শ্রোতা কারা হবেন?
2. আপনি তাদের কাছে কি বিক্রি করতে চাচ্ছেন এবং এটি কি কোন বাস্তব জিনিস না শুধুমাত্র টেক্সট কন্টেন্ট?
3. বাজারে এগুলো পূর্ব থেকেই প্রচুর পরিমানে থাকা সত্ত্বেও কোন জিনিসটি আপনার ব্যবসায়িক ধারণাকে ইউনিক বা আলাদা করবে?
অনেকে মনে করেন যে, ডোমেইনের মধ্যে কোন কীওয়ার্ড থাকা জরুরী। ডোমেইন নামের মধ্যে এই কীওয়ার্ডগুলি সাধারণত গুরুত্বপূর্ণ, তবে এই ধারণা সাধারণত ডোমেইন নামটি সংক্ষিপ্ত, স্মরণীয় এবং হাইফেন মুক্ত থাকলে কাজে আসে।
আপনার ডোমেইন নামে কাঙ্ক্ষিত কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হলে আপনার প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিযোগিতা করার বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। আপনার ডোমেইন নামে আপনার কীওয়ার্ড থাকলে সার্স ইঞ্জিনের ক্লিক রেটও বৃদ্ধি পায়।
দীর্ঘ এবং বিভ্রান্তিকর ডোমেইন নাম কেনা থেকে বিরত থাকুন। অনেক লোক ড্যাশ বা হাইফেন ব্যবহার করে তাদের ডোমেইন নামে ব্যবহৃত শব্দগুলি পৃথক করে থাকে। অতীতে, ডোমেইনের নামটি নিজেই একটি উল্লেখযোগ্য র্যাংকিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করতো, তবে এখন সার্স ইঞ্জিনগুলির উন্নত বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি এখন আর আগের মত অতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
আপনার ডোমেইন নামে দুই বা তিনটি শব্দ রাখুন যেন মনে রাখা সহজ হয়। কিছু উল্লেখযোগ্য ওয়েবসাইট তাদের নিজস্ব শব্দ তৈরি করে সেরা ব্র্যান্ড হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। যেমন- eBay, Yahoo, Wikipedia, Google, twitter, linkedin ইত্যাদি।
আপনি টেলিফোনে কাউকে আপনার ডোমেইন নাম বলা মাত্রই সে এটির বানান কেমন হবে তা সহজেই অনুমান করতে পারলো এবং আপনি এটির মাধ্যমে কি বিক্রি করেন তাও সে অনুমান করতে সক্ষম হলো। এধরণের ডোমেইন নাম কিনুন
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
পরিশেষে, আপনি নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে সক্ষম হবেনঃ
1. আপনি কেন আপনার ওয়েবসাইট বানাতে চান?
2. লোকেরা কেন অন্যের সাইট থেকে না কিনে আপনার সাইট থেকে কিনবে? অথবা অন্যের সাইট ভিজিট না করে আপনার সাইট ভিজিট করবে?
3. কোন বিষয়টি আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে?
4. আপনার টার্গেট শ্রোতা কারা এবং আপনি তাদের কাছে কী বিক্রির পরিকল্পনা করছেন?
5. চমৎকার চমৎকার ১০-১৫টি ওয়েবসাইটের তালিকা তৈরি করুন আর ভেবে দেখুন কেন সেগুলো চমৎকার?
6. ৫টি ভিন্ন ভিন্ন ডোমেন নাম তৈরি করুন। সেগুলোর মধ্য থেকে কমপক্ষে ১টিকে আরও মজাদার করুন। এগুলো অপরিচিত লোকদের মাঝে বলুন এবং খেয়াল করে দেখুন কোন ডোমেইনটি তাদের কাছে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয়। লোকেরা যদি আপনাকে আগে থেকে না চিনে তবে আপনি তাদের কাছ থেকে আপনার কাঙ্ক্ষিত ফিডব্যাক পাবেন।
7. আপনার ডোমেন নামটি আকর্ষণীয়, স্মরণীয় এবং আপনার ব্যবসায়ের সাথে প্রাসঙ্গিক রেখে কিনুন।
সার্স ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন উন্নত করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল আপনার কন্টেন্ট ফাইলের সঠিক নাম দেওয়া। এই টিউটোরিয়ালটি লেখার আগে আমরা ফাইল-নাম নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেছি এবং দেখেছি গুগলের মতো সার্স ইঞ্জিনগুলো ফাইলের নামকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই প্রথমেই আপনাকে ভাবতে হবে আপনি আপনার ওয়েব পেজে কী রাখতে চাচ্ছেন এবং তারপরে এই পেজের একটি প্রাসঙ্গিক ফাইল-নাম দিন। গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যেকোন কীওয়ার্ড দিয়ে সার্স করুন, দেখবেন আপনি যে কীওয়ার্ড দিয়ে ফাইলের নাম দিয়েছিলেন সেই কীওয়ার্ডটিই হাইলাইট হচ্ছে। এটি এই প্রমাণ করে যে, আপনার ফাইল-নামে উপযুক্ত কীওয়ার্ড থাকা উচিৎ।
ফাইল নামকরণ স্টাইল
ফাইলের নাম সংক্ষিপ্ত এবং বর্ণনামূলক হওয়া উচিৎ।
ফাইল-নাম এবং পেজ শিরোনামে একই কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিৎ।
জাতিবাচক(generic) কোন নাম যেমন tutorial.html বা job.html ইত্যাদিকে ফাইল-নাম হিসেবে ব্যবহার করবেন না। আপানার ফাইল-নামকে আরও স্পেসিফিক করুন। যেমন-c-programming-tutorial.html, software-firm.html ইত্যাদি।
ফাইলের নামে ৩-৪ টির বেশি শব্দ ব্যবহার করবেন না।
আন্ডারস্কোর এর পরিবর্তে হাইফেনের সাহায্যে কীওয়ার্ডগুলি আলাদা করুন।
সম্ভব হলে ২ টি কীওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
ফাইল-নামের উদাহরণ
নিচে কিছু ফাইল-নামের উদাহরণ দেখানো হল যা ইউজারের দৃষ্টিকোণ এবং এসইও উভয় ক্ষেত্রেই স্টান্ডার্ড।
slazenger-brand-balls.htmlwimbledon-brand-balls.html
wilson-brand-balls.html
লক্ষ্য করুন, কীওয়ার্ডগুলি আন্ডারস্কোরের পরিবর্তে হাইফেন দ্বারা পৃথক করা হয়েছে। গুগল ভালো ফাইলের নাম যেভাবে দেখেঃ
seo-relevant-filename ফাইলকে গুগল যেভাবে দেখে seo relevant filename(ভালো)
আন্ডারস্কোর দিয়ে ফাইলের-নাম ভাল অপশন হতে পারে না।
seo_relevant_filename ফাইলকে গুগল যেভাবে দেখে seorelevantfilename (ভালো নয়)
URL সাব ডিরেক্টরির নাম
সার্স ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের দৃষ্টিকোণ থেকে, ইউআরএল সাব-ডিরেক্টরির নাম খুব কম গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরীক্ষা করার জন্য আপনি কোন সার্স ইঞ্জিনে যেকোন কীওয়ার্ড সার্স করে চেষ্টা করতে পারেন তাতে আপনার কীওয়ার্ডের সাথে কোন সাব-ডিরেক্টরি নামের মিল খুঁজে পাবেন না। তবে ইউজার এর দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার ফাইলের জন্য সাব ডিরেক্টরির একটি সংক্ষিপ্ত নাম রাখা উচিৎ।
গুরুতপূর্ণ টিপস
আপনার ফাইলের নামকরণের পূর্বে নিম্নের বিষয়গুলি মাথায় রাখুনঃ ওয়েব পেজের ফাইল-নামটি সংক্ষিপ্ত, সাধারণ, বর্ণনামূলক এবং পেজ কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক রাখুন।
1. আপনার ফাইল-নামে সর্বোচ্চ ৩-৪টি কীওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং এই কীওয়ার্ডগুলি আপনার ওয়েব পেজের টাইটেল নামেও ব্যবহার করুণ।
2. আন্ডারস্কোর না ব্যবহার করে হাইফেন দিয়ে সমস্ত কীওয়ার্ড আলাদা করুন।
3. আপনার সাব ডিরেক্টরির নাম যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখুন।
4. ফাইলের আকার 101K এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন, কারণ গুগল এর উপরে প্রায় সব কিছুই ছাপিয়ে যায়।
এসইও - ডিজাইন এবং লেআউট
আপানার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং বিন্যাস আপনার সাইট সম্পর্কে প্রথমিক ধারণা দেয়। তাই ওয়েব সাইট ডিজাইন এবং বিন্যাস(layout) সুন্দর হওয়া উচিৎ। এমন কিছু সাইট রয়েছে যা খুবই অভিনব এবং যারা নিয়মিত নেট ব্রাউজ করে তারা কেবল সেই সাইটগুলিতে ঢুকে কোন ক্লিক না করেই বেরিয়ে আসে।
সার্স ইঞ্জিন খুবই স্মার্ট, তবে সর্বোপরি এগুলি মানুষ নয় বরং সফটওয়্যার। আপনি যদি নিজের সাইটকে খুব জটিল করে তোলেন তবে সার্স ইঞ্জিন আপনার সাইটের কন্টেন্ট যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে না এবং আপানর সাইট ইন্ডেক্সিং ঠিকমত হবে না। ফলে আপনার সাইট এর র্যাংকও একেবারে নিম্নমানের হবে।
প্রকৃত ওয়েব পেজের কীওয়ার্ড ঘনত্ব প্রায় ১০% হওয়া উচিৎ এবং এটির কন্টেন্ট প্রায় ২০০ শব্দের মধ্যে হওয়া উচিৎ। তবে এটি সম্পর্কে এসইও বিশেষজ্ঞদের অনেক মতামত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, কীওয়ার্ডের ঘনত্ব ৫% হওয়া উচিৎ। আবার কেউ কেউ বলেন এটি ২০% হওয়া উচিৎ। তাই আমরা আপনাকে কীওয়ার্ড ঘনত্ব ১০% করার জন্য সুপারিশ করছি।
এখানে কিছু গাইডলাইন দেওয়া হলো যা একটি ওয়েব পেজ ডিজাইন করার সময় আপনার মনে রাখা উচিৎঃ
1. এইচটিএমএল উপাদানের চেয়ে আপনার টেক্সট কন্টেন্ট বেশি থাকা উচিৎ।
2. noframe সার্স ইঞ্জিনের শত্রু এবং সার্স ইঞ্জিন এটির শত্রু।
3. সম্ভব হলে কোন বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করবেন না। কারণ বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনই জাভা-স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে যা ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয় না।
4. পারতপক্ষে জাভাস্ক্রিপ্ট এর ব্যবহার না করাই উচিৎ। আপনার যদি একান্তই জাভাস্ক্রিপ্টের প্রয়োজন হয়, তবে জাভাস্ক্রিপ্ট কোড HTML ফাইলে লেখার পরিবর্তে একটি বাহ্যিক ফাইলে লিখে এইচটিএমএল ফাইল থেকে কল করুন। জাভাস্ক্রিপ্ট ড্রপ-ডাউন মেনু সার্স বোটকে আপনার হোমপেজের সাথে যুক্ত পেজ গুলোকে ক্রলিং করার সময় আটকে দেয়। আপনি যদি জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করেন তবে পেজের নীচে তথা ফুটারে টেক্সট লিংকগুলো যোগ করার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
5. পেজের টাইটেলে এমন কোন শব্দ ব্যবহার করবেন না যা কন্টেন্টের সাথে পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক না।
6. কোন অপ্রয়োজনীয় ডিরেক্টরি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আপনার ফাইলগুলি যতটা সম্ভব রুট এর নিকটে রাখুন।
4. একেবারে প্রয়োজনীয় না হলে কোন অভিনব জিনিস যেমন- ফ্ল্যাশ, স্প্ল্যাশ, অ্যানিমেটেড গিফ, রোলওভার ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
আপনার সমস্ত টেক্সট-লিংকের জন্য বর্ণনামূলক অ্যাংকর টেক্সট ব্যবহার করুন। কেননা, ওয়েবপেজ র্যাংক করার সময় বেশিরভাগ সার্স ইঞ্জিন আগত লিংকগুলির অ্যাংকর টেক্সট বিবেচনা করে। এখানে অ্যাংকরের উদাহরণ দেখানো হলোঃ
<a href="otherpage.htm" title="Anchor Title">Anchor Text</a>
অ্যাংকরের প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নিম্নে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো
1. বেশির ভাগ সার্স ইঞ্জিনের ক্ষেত্রেই অ্যাংকরের শিরোনাম(title) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এটির শিরোনামে উপযুক্ত কীওয়ার্ড রাখা উচিৎ।
2. অ্যাংকরের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল অ্যাংকর টেক্সট। তাই এটি খুব সাবধানতার সাথে নির্বাচন করা উচিৎ কারণ এই টেক্সট কেবল সার্স ইঞ্জিনে নয়, বরং নেভিগেশনের উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হয়। আপনার অ্যাংকর টেক্সটে সেরা কীওয়ার্ডগুলি ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিৎ।
3. otherpage.htm হল অন্য ওয়েব পেজের একটি লিংক। এই লিংকটি বাহ্যিক কোন সাইটেরও হতে পারে। তাই আপনাকে লিংকযুক্ত পেজটি এখন বিদ্যমান আছে কিনা তা আগে নিশ্চিত করতে হবে; অন্যথায় এটি একটি ভাঙা লিংক বলে বিবেচিত হবে, যা সার্স ইঞ্জিনের পাশাপাশি সাইট ভিজিটরদের কাছেও আপনার সাইটের প্রতি খারাপ ধারণা জন্মাবে ।
নিম্নে অ্যাংকরের আরও একটি উদাহরণ দেওয়া হলোঃ
<a href="index.html" title="Anchor Title">
<img src="satt.jpg" alt="keywords" />
উপরের উদাহরণে অ্যাংকর টেক্সট একটি চিত্র দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। সুতরাং, অ্যাংকর টেক্সটের জায়গায় কোন চিত্র ব্যবহার করার সময়, আপনি ঠিক মতো alt ট্যাগ ব্যবহার করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করা উচিৎ। একটি img ট্যাগের Alt এট্রিবিউটে উপযুক্ত কীওয়ার্ড থাকা উচিৎ।
SEO - টাইটেল অপটিমাইজেশন(Title Optimization)
এইচটিএমএল টাইটেল ট্যাগটি হেড ট্যাগের মধ্যে রাখা হয়। এই অধ্যায়ে আলোচিত পেজ টাইটেল(title)-কে পেজের শিরোনাম(heading)-এর সাথে মিলিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করিয়েন না, কিন্তু। এটি আপনার ব্রাউজার উইন্ডোর টাইটেল বারে প্রদর্শিত হয় এবং আপনি যখন কোন পেজ বুকমার্ক করেন বা আপনার ব্রাউজারের ফেভারিট বারে যুক্ত করেন তখন এটি প্রদর্শিত হয়।
এটি ওয়েবপেজের এমন এক স্থান যেখানে আপনার পেজের কীওয়ার্ডটি অবশ্যই রাখতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের টাইটেলে কীওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার গুগলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ - বিশেষকরে হোমপেজের জন্য। আপনি যদি নিজের সাইটটি অপ্টিমাইজ করার জন্য অন্য কিছু নাও করে থাকেন তবে এটি করতে কখনোই ভুলবেন না!
ওয়েবপেজের টাইটেল ডিজাইন করার সময় নিম্নের সুপারিশগুলি অনুসরণ করুনঃ
1. আপনার পেজ টাইটেলে প্রায় ৯টি শব্দ বা ৬০টির বেশি অক্ষর ব্যবহার করা উচিৎ নয়।
2. টাইটেলের একেবারে শুরুতে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
3. আপনার কোম্পানির নামটি খুব বেশি পরিচিত না হলে টাইটেলে আপনার কোম্পানির নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন না।
ওয়েবপেজে অযৌক্তিক বা অস্তিত্বহীন টাইটেল ব্যবহার করলে গুগল আপনার সাইটকে অন্যের সাইটের তুলনায় টপ র্যাংকিং এর বাইরে রাখে যদি না অন্যের সাইটে প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট থাকে বা তার সাইটের লিংকের গুনগত মান ঠিক না থাকে। তাই সর্বদাই যৌক্তিক এবং প্রাসঙ্গিক টাইটেল ব্যবহার করুন।
টাইটেল তৈরির জন্য কিছু সুপারিশ
পেজ টাইটেল তৈরি করার সময় আমাদের করা নিম্নের সুপারিশগুলি অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছিঃ
1. প্রতিটি পেজের জন্য একটি ইউনিক(unique) টাইটেল ব্যবহার করুন।
2. ব্যবহারিক ক্ষেত্রে প্রতিটি পেজের প্রতিটি টাইটেলে আপনার প্রাথমিক কীওয়ার্ড বাক্যাংশ(Primary Keyword Phrase) অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
3. হোমপেজের টাইটেল আপনার প্রাথমিক কীওয়ার্ড বাক্যাংশ(Primary Keyword Phrase) দিয়ে শুরু করুন, তারপরে আপনার সেরা দ্বিতীয় কীওয়ার্ড বাক্যাংশ ব্যবহার করুন।
4. আপনার নির্দিষ্ট পণ্য, পরিষেবা বা কন্টেন্ট পেজগুলিতে আপনার প্রাথমিক কীওয়ার্ড বাক্যাংশে আরও সুনির্দিষ্ট প্রকরণ(specific variation) ব্যবহার করুন।
5. টাইটেলে যদি আপনার কোম্পানির নাম রাখতেই হয় তবে এটি শিরোনামের একেবারে শেষে রাখুন।
6. কিওয়ার্ড রিসার্সের মাধ্যমে সেরা কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
7. টাইটেলকে অতিরঞ্জিত করবেন না এবং টাইটেলে আপনার কীওয়ার্ডগুলি ২ থেকে ৩ বারের বেশি পুনরাবৃত্তি করবেন না।
8. টাইটেল ট্যাগটিকে আপনার পেজের "হেড" সেকশনের প্রথম উপাদান হিসেবে ব্যবহার করুন। কারণ এটি গুগলকে আপনার পেজ খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।
URL সাব ডিরেক্টরির নাম
সার্স ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের দৃষ্টিকোণ থেকে, ইউআরএল সাব-ডিরেক্টরির নাম খুব কম গুরুত্বপূর্ণ। এটি পরীক্ষা করার জন্য আপনি কোন সার্স ইঞ্জিনে যেকোন কীওয়ার্ড সার্স করে চেষ্টা করতে পারেন তাতে আপনার কীওয়ার্ডের সাথে কোন সাব-ডিরেক্টরি নামের মিল খুঁজে পাবেন না। তবে ইউজার এর দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার ফাইলের জন্য সাব ডিরেক্টরির একটি সংক্ষিপ্ত নাম রাখা উচিৎ।
গুরুতপূর্ণ টিপস
আপনার ফাইলের নামকরণের পূর্বে নিম্নের বিষয়গুলি মাথায় রাখুনঃ ওয়েব পেজের ফাইল-নামটি সংক্ষিপ্ত, সাধারণ, বর্ণনামূলক এবং পেজ কন্টেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক রাখুন।
1. আপনার ফাইল-নামে সর্বোচ্চ ৩-৪টি কীওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা করুন এবং এই কীওয়ার্ডগুলি আপনার ওয়েব পেজের টাইটেল নামেও ব্যবহার করুণ।
2. আন্ডারস্কোর না ব্যবহার করে হাইফেন দিয়ে সমস্ত কীওয়ার্ড আলাদা করুন।
3. আপনার সাব ডিরেক্টরির নাম যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখুন।
4. ফাইলের আকার 101K এর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন, কারণ গুগল এর উপরে প্রায় সব কিছুই ছাপিয়ে যায়।
এসইও - ডিজাইন এবং লেআউট
আপানার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং বিন্যাস আপনার সাইট সম্পর্কে প্রথমিক ধারণা দেয়। তাই ওয়েব সাইট ডিজাইন এবং বিন্যাস(layout) সুন্দর হওয়া উচিৎ। এমন কিছু সাইট রয়েছে যা খুবই অভিনব এবং যারা নিয়মিত নেট ব্রাউজ করে তারা কেবল সেই সাইটগুলিতে ঢুকে কোন ক্লিক না করেই বেরিয়ে আসে।
সার্স ইঞ্জিন খুবই স্মার্ট, তবে সর্বোপরি এগুলি মানুষ নয় বরং সফটওয়্যার। আপনি যদি নিজের সাইটকে খুব জটিল করে তোলেন তবে সার্স ইঞ্জিন আপনার সাইটের কন্টেন্ট যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করতে সক্ষম হবে না এবং আপানর সাইট ইন্ডেক্সিং ঠিকমত হবে না। ফলে আপনার সাইট এর র্যাংকও একেবারে নিম্নমানের হবে।
প্রকৃত ওয়েব পেজের কীওয়ার্ড ঘনত্ব প্রায় ১০% হওয়া উচিৎ এবং এটির কন্টেন্ট প্রায় ২০০ শব্দের মধ্যে হওয়া উচিৎ। তবে এটি সম্পর্কে এসইও বিশেষজ্ঞদের অনেক মতামত রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, কীওয়ার্ডের ঘনত্ব ৫% হওয়া উচিৎ। আবার কেউ কেউ বলেন এটি ২০% হওয়া উচিৎ। তাই আমরা আপনাকে কীওয়ার্ড ঘনত্ব ১০% করার জন্য সুপারিশ করছি।
এখানে কিছু গাইডলাইন দেওয়া হলো যা একটি ওয়েব পেজ ডিজাইন করার সময় আপনার মনে রাখা উচিৎঃ
1. এইচটিএমএল উপাদানের চেয়ে আপনার টেক্সট কন্টেন্ট বেশি থাকা উচিৎ।
2. noframe সার্স ইঞ্জিনের শত্রু এবং সার্স ইঞ্জিন এটির শত্রু।
3. সম্ভব হলে কোন বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করবেন না। কারণ বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনই জাভা-স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে যা ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয় না।
4. পারতপক্ষে জাভাস্ক্রিপ্ট এর ব্যবহার না করাই উচিৎ। আপনার যদি একান্তই জাভাস্ক্রিপ্টের প্রয়োজন হয়, তবে জাভাস্ক্রিপ্ট কোড HTML ফাইলে লেখার পরিবর্তে একটি বাহ্যিক ফাইলে লিখে এইচটিএমএল ফাইল থেকে কল করুন। জাভাস্ক্রিপ্ট ড্রপ-ডাউন মেনু সার্স বোটকে আপনার হোমপেজের সাথে যুক্ত পেজ গুলোকে ক্রলিং করার সময় আটকে দেয়। আপনি যদি জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করেন তবে পেজের নীচে তথা ফুটারে টেক্সট লিংকগুলো যোগ করার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
5. পেজের টাইটেলে এমন কোন শব্দ ব্যবহার করবেন না যা কন্টেন্টের সাথে পুরোপুরি প্রাসঙ্গিক না।
6. কোন অপ্রয়োজনীয় ডিরেক্টরি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। আপনার ফাইলগুলি যতটা সম্ভব রুট এর নিকটে রাখুন।
4. একেবারে প্রয়োজনীয় না হলে কোন অভিনব জিনিস যেমন- ফ্ল্যাশ, স্প্ল্যাশ, অ্যানিমেটেড গিফ, রোলওভার ইত্যাদি ব্যবহার করা উচিৎ নয়l
কীওয়ার্ড একটি শব্দ বা বাক্যাংশ(phrase) যা একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট তথ্য অনুসন্ধানের জন্য সার্স ইঞ্জিনের কাছে সাবমিট করে এবং সার্স ইঞ্জিন তার ভিত্তিতে ফফাফল ফেরৎ দেয়। বেশিরভাগ মানুষই সার্সের সময় দুই থেকে পাঁচটি শব্দের সমন্বয়ে বাক্যাংশ ব্যবহার করে। এই ধরনের বাক্যাংশগুলিকে সার্স বাক্যাংশ, কীওয়ার্ড বাক্যাংশ, কুয়েরী বাক্যাংশ বা শুধুমাত্র কীওয়ার্ড বলা হয়। ভাল কীওয়ার্ডের বাক্যাংশগুলি নির্দিষ্ট এবং বর্ণনামূলক হয় ।
কীওয়ার্ড সম্পর্কিত নিম্নের টপিক্সসমূহ ওয়েব পেজের কীওয়ার্ড অপটিমাইজেশনে সহায়তা করে।
কীওয়ার্ড ফ্রিকোয়েন্সি(Keyword Frequency)
কীওয়ার্ড ফ্রিকোয়েন্সি হল কোন কীওয়ার্ড বা কীওয়ার্ড বাক্যাংশ একটি ওয়েব পেজ বা পেজ কন্টেন্টের কোন অংশে কতবার প্রদর্শিত হয়। গুগলে স্প্যাম হিসাবে চিহ্নিত হওয়া বা পতাকাঙ্কিত হওয়ার সম্ভাবনা (যা আমাদের কাছে 'কীওয়ার্ড স্টাফিং’ নামে পরিচিত) এড়াতে কোনও ওয়েবপেজে কীওয়ার্ড বা বাক্যাংশটি কতবার প্রদর্শিত হবে তা সীমাবদ্ধ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কীওয়ার্ড ওয়েট(Keyword Weight)
ওয়েট হল কীওয়ার্ড এবং বাক্যাংশের(phrase) গুরুত্ব নির্ণয়ের মাপকাঠি, অর্থাৎ এটি পেজের মান(value) নির্ধারণ করে। যদি কোন কীওয়ার্ড বা বাক্যাংশ পেজের টাইটেল বা শিরোনামে(heading) অন্তর্ভুক্ত করা হয় তবে এর ওয়েট বৃদ্ধি পায়। তাই কোন পেজের ওয়েট যত বেশি হবে, তার গুরুত্বও তত বাড়বে এবং সার্স ইঞ্জিনের ফলাফলেও সেই কীওয়ার্ড প্রদর্শিত হবে।
কীওয়ার্ড প্রক্সিমিটি(Keyword Proximity)
কীওয়ার্ড প্রক্সিমিটি দুটি শব্দ বা বাক্যাংশের মধ্যবর্তী দূরত্ব বা body টেক্সটের মধ্যে কীওয়ার্ডসমূহ একে অপরের কতটা নিকটবর্তী তা নির্দেশ করে। দুটি কীওয়ার্ড একে অপরের যত কাছাকাছি, এই বাক্যাংশের ওয়েট(weight) তত বেশি।উদাহরণস্বরূপঃ
আমরা আপনার সাধ্যের মধ্যে নীল উইজেট বিক্রি করি।
আমাদের সমস্ত সাশ্রয়ী উইজেটগুলির রং নীল।
প্রথম উদাহরণে নীল উইজেট বাক্যাংশে শব্দদুটি একে অপরের নিকটবর্তী হওয়ায় এটির কীওয়ার্ড প্রক্সিমিটি দ্বিতীয়টির চেয়ে ভাল। এক্ষেত্রে অন্য সব কিছু যদি সমান হয় তবে প্রথম উদাহরণটির সার্স র্যাংক দ্বিতীয়টির চেয়ে উচ্চতর হবে।
কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট(Keyword Placement)
আপনার কীওয়ার্ডগুলি পেজের কোথায় রাখবেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ সার্স ইঞ্জিনের জন্য, পেজ টাইটেলে বা শিরোনামে(Heading) কীওয়ার্ড রাখলে এটি প্রাসঙ্গিক হয় এবং ফলাফলও ভালো পাওয়া যায়। আবার কিছু ইঞ্জিনের জন্য, লিংক টেক্সটে কীওয়ার্ড রাখলে প্রাসঙ্গিকতা বেশি পায়।
কীওয়ার্ড রাখার সেরা স্থান(Best Place for Putting Keyword)
আপনার প্রধান প্রধান কীওয়ার্ডগুলি কোথায় রাখবেন এমন স্থানের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলঃ
<title> ট্যাগ;
<meta name="description"> ট্যাগ;
<meta name="keyword"> ট্যাগ;
<h1> বা অন্যান্য হিডিং(heading) ট্যাগ;
<a href="http://yourcompany.com">কীওয়ার্ড</a> লিংক ট্যাগ;
<a href="http://sitename.com ">কীওয়ার্ড</a>
body ট্যাগের বিভিন্নে কন্টেন্টের মধ্যে
Alt ট্যাগ।
<!--এখানে মন্তব্য লিখুন-->comment ট্যাগ।
URL বা ওয়েবসাইট এড্রেসে।
কীওয়ার্ড সন্ধান করা(Finding Keywords)
বিভিন্ন উপায়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারেন। নিম্নে কীওয়ার্ড খুঁজে বের করার কিছু আইডিয়া শেয়ার করা হোল
1. সম্ভাব্য শব্দাবলি, যেগুলো লোকেরা আপনার পণ্য বা পরিষেবা সন্ধ্যান করতে ব্যবহার করবে।
2. আপনার প্রত্যাশিত গ্রাহকরা আপনার পণ্য বা পরিষেবা দিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করতে পারে।
3. আপনার প্রতিযোগীর ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত কীওয়ার্ড ট্যাগ।
4. প্রতিযোগীর ওয়েবসাইটে দৃশ্যমান পেজের কন্টেন্ট ।
5. শীর্ষ সার্স ইঞ্জিনগুলিতে সম্পর্কিত সার্স পরামর্শ(suggestion)
6. অনলাইন টুল ব্যবহার করা। যেমন- গুগল কীওয়ার্ড টুল।
7. আপনার ওয়েবসাইটটি গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ এবং সঠিক কীওয়ার্ড সন্ধানের মাধ্যমে। এক্সপার্ট এসইও কপিরাইটারদের দ্বারা এই কাজটি করা যেতে পারে।
8. আপনার কীওয়ার্ডগুলির জন্য স্টেমিংয়ের প্রতি মনোযোগ দিন। বিশেষকরে পেজসমূহ অপটিমাইজ করার সময় মূল(root) শব্দটি কি হবে এবং গুগল কোন কোন শব্দকে সেই শব্দের সাথে মিল আছে বলে বিবেচনা করে।
9. বুদ্ধিদীপ্ত ধারনার মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটের জন্য সঠিক কীওয়ার্ড সনাক্ত করতে পারেন।
ওয়ার্ড স্টেমিং কী?(What is Word Stemming?)
গুগল ওয়ার্ড স্টেমিং নামে একটি বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে যার মাধ্যমে সার্স কুয়েরিতে ব্যবহৃত কোন শব্দের সমস্ত রূপ যেমন- একবচন, বহুবচন, ক্রিয়া ফর্ম এবং শব্দের প্রতিশব্দ ফেরত পাঠায়।
সুতরাং কেউ যদি “হাউস প্ল্যান" টাইপ করেন তবে কেবলমাত্র সেই বাক্যাংশগুলির(phrase) জন্য অপটিমাইজ হওয়া পেজগুলিই নয়, বরং সেই বাক্যাংশের সমস্ত প্রকরণের যে পেজগুলি রয়েছে সেগুলিও ফিরিয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, "হাউস প্ল্যান", "হাউস প্ল্যানিং", "হাউস প্ল্যানার” ইত্যাদি।
আশা করি কীওয়ার্ড বিষয়টি এখন অনেকটাই আপনার দখলে এবং কিভাবে সেগুলি সনাক্ত করতে হয় এবং কোথায় ব্যবহার করতে হয় তাও আপনি জেনেছেন। আরও ভালভাবে জানার জন্য পরবর্তী অধ্যায়টি পড়ুন যেখানে মেটাট্যাগ অপটিমাইজ করার গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ আলোচনা করা হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন