টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে। 

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে।


জীবিকা নির্বাহের জন্য আমাদের প্রধান হাতিয়ার হল টাকা। এই টাকা দিয়ে আমরা আমাদের ভরণপোষণ ও পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি। বর্তমান সময়ে টাকা ইনকাম করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। যারা টাকা ইনকাম করার সহজ মাধ্যম গুলো বেছে নিয়েছে, তারা খুব অল্প দিনেই বড়লোক হয়ে গেছে। টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে। 

কিন্তু বেশিরভাগই ওয়েবসাইটগুলো কাজ করে টাকা দেয় না। তাই আমাদের মাঝে হতাশা ও দুশ্চিন্তা বেড়েই চলেছে। ভাই আপনাদের এই রকম হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য,আমাদের টিম নিয়ে এলো নতুন আয়োজন। আজকে আমরা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে ও অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের সহজ কয়েকটি উপায় নিয়ে। 


টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে। 

বর্তমান সময়ে আমরা অযথাই ফেসবুক এবং ইউটিউব এ সময় নষ্ট করে থাকি। কিন্তু আপনি যদি আপনার এই মূল্যবান সময়কে একটু কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে দেখবেন এই অনলাইন থেকে আপনার ইনকাম হবে। সবাই বলে অনলাইনে ইনকাম করতে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ লাগে। কিন্তু হাতে থাকা মোবাইল ফোন দেওয়ার কাজটি করা সম্ভব। 

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে মধ্যে রয়েছে ইউটিউব, ওয়েবসাইট, কনটেন্ট রাইটিং, রেফার করে ইনকাম ও গেম খেলে ইনকাম ইত্যাদি। এইসব কয়টি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে আজকে। অনলাইনে টাকা ইনকাম করা যায় অনেকেই বিশ্বাস করে না। কিন্তু আপনি যদি ইউটিউবে সার্চ দেন, তাহলে অনলাইনে ইনকামের হাজারো প্রমাণ পাবেন। 


টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়গুলো:-

১. ফেসবুক থেকে ইনকাম। 
২. ব্লগিং করে ইনকাম। 
৩. ইউটিউব থেকে ইনকাম। 
৪. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 
৫. গ্রাফিক ডিজাইন। 
৬. আর্টিকেল লিখে। 
৭. রেফার করে আয়। 


ফেসবুক থেকে ইনকাম

ফেসবুকে আমরা সবাই শুধু ছবি আপলোড ও লাইক এর মধ্যে দিয়ে রেখেছি। ‌ কিন্তু ফেসবুকে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এখান থেকেও উপার্জন হয়। ফেসবুক থেকে আপনি মোট তিনটি উপায়ে আয় করতে পারেন। ফেসবুক বিজনেস পেজ, ফেসবুক মনিটাইজেশন ও ফেসবুক অনলাইন ব্যবসা। এই তিনটা মাধ্যম বর্তমান অনেক জনপ্রিয়। 

অনলাইনে যারা ব্যবসা করে তাদের প্রধান হাতিয়ার হল ফেসবুক। কারণ পৃথিবীর সকল সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে ফেসবুকে বেশি মানুষ একটিভ থাকে। ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা এখন বাংলাদেশেও অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। বই পৃথিবীর সবথেকে বড় প্ল্যাটফর্ম হলো রকমারি। রকমারি যাত্রা শুরু হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। রকমারি তারা নিঃসন্দেহে ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে বই বিক্রি করছে। এছাড়াও অনলাইনে এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। যারা বিভিন্ন কোর্স বিক্রি, বিভিন্ন পোশাক-পরিচ্ছেদ বিক্রি, বিভিন্ন অনলাইন পণ্য বিক্রি করছেন। 

ইউটিউবে যেমন মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয়। ফেসবুক এমন একটা মনিটাইজেশন গঠন করেছেন। ফেসবুকের সর্বনিম্ন তিন মিনিটের ভিডিও আপলোড করা যাবে। সেই ভিডিওতে যদি অনেক বেশি ভিউ হয়। আর সেই বিজনেস পেজ 10,000 লাইক থাকে। তাহলে আপনি অনায়াসেই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। এটাও একটা মতো সহজ একটা পদ্ধতি। 


ব্লগিং করে ইনকাম। 

ব্লগিং করে ইনকাম করা যায় সবাই জানি। কিন্তু কীভাবে এই ইনকাম টা হয় সেটা অনেকেই বুঝি না। ব্লগিং বলতেই অনেকটাই আর্টিকেল লেখা কেউ বোঝায়। কিন্তু আধুনিক ভাষায় আমরা বলি ব্লগিং। ব্লগিং আপনি বিভিন্ন সাইটে ক নরমরতে পারেন। কিন্তু ব্লগিং করার জন্য সবথেকে ভাল সাইট হল ওয়েবসাইট। 

এখন ওয়েবসাইটে বিষয়টা হলো একটা ওয়েব পেজ। যেখানে আপনি ব্লগিং লিখে পোস্ট করবেন। আপনি গুগলে সার্চ করেছেন "টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে" এই কিওয়ার্ড দিয়ে। তখন আপনার সামনে গুগোল অনেকগুলো ওয়েব পেজ সো করিয়েছে। এই ওয়েব পেজ ভিতরে প্রবেশ করলে ওইটা হল ওয়েবসাইট। আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট করবেন। যখন আপনার পোস্টগুলো ভিজিটর ভিজিট করবে। তখন আপনি সেই ওয়েবসাইট থেকে দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। 

গুগল এডসেন্স ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে। গুগল এডসেন্স বলতে আপনার ওয়েবসাইটে গুগোল বিভিন্ন প্রকার এডভার্টাইজিং এর পোস্ট দিবে। আপনার ভিজিটর এই এডভার্টাইজিং গুলো তে ক্লিক করলে, আপনি প্রতিটা ক্লিকের জন্য গুগল থেকে টাকা পাবেন। আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আয় বলতে, আপনার ওয়েবসাইটে একটা কোম্পানির অফার প্রমোট করা। 


ইউটিউব থেকে ইনকাম। 

ভিডিও শেয়ারিং এর অন্যতম প্লাটফর্ম হল ইউটিউব। ইউটিউব এ কেউ শখের বশে ভিডিও আপলোড করে। আমার কেউ টাকা ইনকামের জন্য ভিডিও আপলোড করে। কিন্তু আবার অনেকে অনেক রকম প্রশ্ন করে থাকে। মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিও করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে পুরোপুরিভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায়। কারণ বেশিরভাগ মানুষের হাতেই স্মার্ট ফোন। তাই তারাই স্মার্টফোনকে ইউটিউব কে কন্ট্রোল করতে চাই। 

কিন্তু ইউটিউব থেকে ইনকাম এর জন্য আপনার কয়েকটা শর্ত মানতে হবে। প্রথমত আপনাকে একটি চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইব হতে হবে। দ্বিতীয়তঃ আপনার ইউটিউবে লাস্ট একবছরে 4000 ঘন্টা টাইম থাকতে হবে। এই দুইটা শর্ত যদি আপনি মানতে পারেন, তাহলে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। এছাড়াও ইউটিউব থেকে আয়রার একটি উৎস হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও অনলাইন কোর্স সেল। 

এছাড়াও আপনার ও যদি অনলাইন বিজনেস থাকে। সেটাও ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে যাবে। এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেলে আপনিও বিভিন্ন রকম প্রোডাক্ট পোশাকের ভিডিও তৈরি করে আয় করতে পারেন। ছাড়ো আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম দিয়ে কমার্স ব্যবসা করতে পারেন। যা আপনার ব্যবসাকে প্রসার ও প্রচার বৃদ্ধি করবে। 


অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

আফিলিয়েট মার্কেটিং শব্দটা নতুন হলেও বর্তমানে এটির জনপ্রিয়তা অনেক। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনার কোন প্রকার কোর্স করতে হবে না। ভারী কোন ডিভাইস লাগবে না। আপনার হাতে থাকে এ স্মার্টফোনটি দিয়েও সম্ভব। কিন্তু আপনার মধ্যে থাকতে হবে প্রবল ইচ্ছাশক্তি। এখন আসুন জেনে নিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের প্রোডাক্ট/পণ্য বিক্রি করে নিজের কিছু কমিশন নেওয়া। 

বাংলাদেশের এমন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি আছে। দারাজ, পুতুল হস্ট, দাইনা হস্ট ও টেন মিনিট স্কুল। এমন অনেকে কোম্পানি রয়েছে। যাদের প্রডাক পাব পণ্য বিক্রি করলে আপনাকে কিছু কমিশন দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই আফিলিয়েট মারকেটিং টা কিভাবে করে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এটা মূলত লিংকের মাধ্যমে করা হয়। আপনার একটা জনপ্রিয় ওয়েবসাইট/ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আপনার সেই আফিলিয়েট প্রোডাক্ট এর লিংক্টা সেখানে শেয়ার করলে, সেই লিংকের মাধ্যমে যতগুলো বিক্রি হবে। আপনি তত টাকা পাবেন।


গ্রাফিক ডিজাইন। 

ছোটবেলায় আমরা প্রায় সকলেই আঁকাআঁকি করতাম। আঁকাআঁকি যারা করে তাদেরকে বলা হয় ডিজাইনার। গ্রাফিক ডিজাইনার ওরাও আমাদের ব্যবসার লোগো ও ব্যানার তৈরি করে থাকে। দিন দিন এই গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা বেড়েই চলেছে। কারণ যদি কোনো ব্যবসায়ী ব্যবসা শুরু করতে চাই, তাহলে তার ব্যবসার জন্য লোগো ব্যানার এর প্রয়োজন হয়। সেই লোগো ও ব্যানার যারা তৈরি করে থাকে তারাই হল গ্রাফিক ডিজাইনার। 

গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ গুলো সব থেকে বেশি পাওয়া যায় ফাইবার ও ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে। এখানে আপনি বিভিন্ন রকম বিদেশী ক্লায়েন্ট পাবেন। যাদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলে অর্ডার নিতে হবে। অবশ্যই আপনার ইংরেজি কনভার্শন টা অ্যাডভান্স লেভেলের থাকতে হবে। কারণ ইংরেজি ফলায় ইন্টারন্যাশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ। লোগো ডিজাইনে বেশিরভাগ কাজগুলি আসে আমেরিকা ও কানাডার থেকে। তাই ইংরেজিতে কথা বলতেই হবে। 


ইতিকথা। 

আমাদের দেশের বেকারত্বের হার প্রায় চার গুণ বেড়ে গেছে। তাই প্রত্যেকেরই উচিত ঘরে বসে অনলাইনে কিছু করার। অনলাইন আমাদের জীবনব্যবস্থাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে মোট পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই পাঁচটি বিষয় থেকে আপনি যে কোন একটা বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে কাজ করবেন। 

এই পাঁচটি বিষয়ে অনলাইনে ইনকাম হবে। এছাড়াও যদি টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে, কমেন্টে জানাবেন। আজকের মত আমাদের এই পর্ব টা শেষ করছি। এতটা সময় আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। 



Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন